দ্য কারাতে কিড: লেজেন্ডস” – পুরনো সেই জাদু কি ফিরল?
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সিনেমা ‘দ্য কারাতে কিড’-এর নতুন সংস্করণ মুক্তি পেয়েছে, আর সিনেমাপ্রেমীদের মনে একটাই প্রশ্ন – আগের মতো আকর্ষণ কি এই ছবিতেও খুঁজে পাওয়া যাবে? সমালোচকদের মতে, প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ‘কারাতে কিড: লেজেন্ডস’। ছবিতে পুরনো সেই ‘মিস্টার মিয়াজির’ অভাব স্পষ্ট, যিনি ছিলেন এই সিরিজের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
নতুন এই ছবিতে গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে লি ফং নামের এক তরুণ, যে বেইজিং থেকে নিউ ইয়র্কে আসে। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া, সংস্কৃতিগত ভিন্নতা, আর একাকিত্বের যন্ত্রণা – এই সবকিছুই তাকে জর্জরিত করে। আগের ছবিগুলোর মতোই এখানেও ভালোবাসার মানুষের জন্য লড়তে দেখা যায় লি-কে। তবে মূল গল্পটা যেন এখানেই থেমে যায়। লি-র ভেতরের গভীর কষ্ট, ভাইয়ের মৃত্যুশোক—এসব বিষয়গুলো ছবিতে সেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি।
ছবিতে রাল্ফ ম্যাকিও এবং জ্যাকি চ্যানের উপস্থিতি দর্শকদের জন্য আগ্রহের বিষয় ছিল। কিন্তু তাদের চরিত্রগুলো গল্পের গভীরে সেভাবে প্রবেশ করতে পারেনি। বরং, অনেকটা দেরিতে, প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের দেখা যায়। এখানে ম্যাকিও-র কারাতে এবং চ্যানের কুং ফু-র মিশ্রণ ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সেটিও দুর্বল মনে হয়েছে।
‘কারাতে কিড: লেজেন্ডস’-এ গল্প বলার ধরনে দুর্বলতা রয়েছে। হাস্যরসের উপাদান যোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তা আগের ছবিগুলোর মতো প্রাণবন্ত হয়নি। এমনকি, ছবির আবহসংগীতও অনেক ক্ষেত্রে গল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।
আগের ছবিগুলোতে গভীরতা এবং মানবিক অনুভূতির যে ছোঁয়া ছিল, এই ছবিতে যেন সেটির অভাব। ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্যগুলো ভালো হলেও, গল্পের দুর্বলতা দর্শকদের হতাশ করেছে।
সব মিলিয়ে, “কারাতে কিড: লেজেন্ডস” পুরনো সেই ‘কারাতে কিড’-এর জাদু ধরে রাখতে পারেনি। যারা আগের ছবিগুলো পছন্দ করেছেন, তাদের জন্য এই সিনেমাটি তেমন উপভোগ্য নাও হতে পারে।
সিনেমাটির বিষয়বস্তুর কারণে মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (MPA)-এর পক্ষ থেকে ছবিটিকে PG-13 রেটিং দেওয়া হয়েছে। ছবিটির রানটাইম ৯৪ মিনিট।
পর্যালোচনা: সিনেমাটিকে ৪ এর মধ্যে ১.৫ স্টার দেওয়া হলো।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস