বাংলার সঙ্গীত জগতে নতুন একটি নাম, যিনি এরই মধ্যে সকলের নজর কেড়েছেন। তিনি হলেন কাশাস কুলপেপার, যিনি পেশায় ছিলেন একজন ফায়ারফাইটার এবং নৌবাহিনীর সদস্য।
গান ভালোবাসতেন, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে গানের জগতে প্রবেশ তাঁর অপ্রত্যাশিতভাবেই।
কাশাস কুলপেপারের গল্পটা অনেকটা সিনেমার মতোই। লকডাউনের সময় সৈন্যদের মনোরঞ্জনের জন্য তিনি গিটার বাজানো শুরু করেন।
এরপর নিজের গান এবং কাভার করা গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে থাকেন। তাঁর একটি গানের ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়ে যান বিখ্যাত অভিনেতা স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন, যিনি তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে সেই ভিডিওটি শেয়ার করেন।
এর ফলস্বরূপ, কয়েক মাসের মধ্যেই কাশাস একটি রেকর্ড চুক্তিতে আবদ্ধ হন এবং খ্যাতিমান শিল্পী ও নৌ-বাহিনীর সদস্য জ্যাক ব্রায়ানের সমর্থন পান।
কাশাস কুলপেপারের গানের ধরন “সাউদার্ন সাউন্ডস” নামে পরিচিত। তাঁর গানের অনুপ্রেরণা আসে তাঁর শহর, আলাবামার আলেকজান্ডার সিটির চারপাশের পরিবেশ থেকে—ফ্রিওয়ের গাড়ির গান, রেস্টুরেন্টের সঙ্গীত, এমনকি চার্চের সুরও তাঁর গানের উপাদান।
কান্ট্রি, ব্লুজ, সোল, ফোক এবং সাউদার্ন রক—এসবের মিশ্রণে তৈরি তাঁর গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর কণ্ঠে রয়েছে এক অসাধারণ মাদকতা, যা শ্রোতাদের সহজে আকৃষ্ট করে।
সম্প্রতি, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গ্র্যান্ড ওল’ ওপরিতেও পারফর্ম করেছেন, যা তাঁর সঙ্গীত জীবনের এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
শুধু কাশাস কুলপেপারই নন, এই সপ্তাহে আরও কিছু নতুন গান মুক্তি পেয়েছে, যা সঙ্গীতপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন এস.এল, যিনি তাঁর “প্যারানোয়া” গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। এছাড়া, ডুরান্ড জোনস অ্যান্ড দ্য ইন্ডিকেশনস, যারা ক্লাসিক সোল ঘরানার গান করেন, তাঁদের “ফ্লাওয়ার মুন” গানটিও বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
সারা লারসন তাঁর ” pretty Ugly” গানের মাধ্যমে ফিরে এসেছেন, যা ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এছাড়াও, ফুল অফ হেল, কারা-লিস কাভারডেল, কুয়াডেকা এবং আনিয়া লকউডের মতো শিল্পীরাও তাঁদের নতুন গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন।
আন্তর্জাতিক সঙ্গীত বিষয়ক বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই গানগুলো বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত প্রেমীদের জন্য নতুনত্বের স্বাদ নিয়ে এসেছে।
তথ্য সূত্র: The Guardian