প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, ক্যাথরিন ‘কেট’ মিডলটন, ক্যান্সার চিকিৎসার কঠিন পথ পাড়ি দিচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন, যা বিশ্বজুড়ে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। চিকিৎসার ধকল এবং মানসিক অবস্থা নিয়ে তিনি যা বলেছেন, তা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
গত জুলাই মাসে, ইংল্যান্ডের একটি হাসপাতালে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৪৩ বছর বয়সী কেট বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা তার জন্য “সত্যিই খুব কঠিন” ছিল। তিনি জানান, “চিকিৎসার সময় একটা সাহসী মুখ করে থাকতে হয়, কিন্তু চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরে মনে হয়, ‘এবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাক’, কিন্তু আসলে তা হয় না।
প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, যিনি প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী এবং ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর অর্ধাঙ্গিনী, তার ক্যান্সারের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে, তিনি জানিয়েছেন যে, রোগটি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চিকিৎসার এই পর্যায়ে তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমি ভালো এবং খারাপ উভয় দিনই পার করছি।” তিনি আরও বলেন, “ক্যান্সারের চিকিৎসার কারণে আমাকে ধীর গতিতে চলতে হচ্ছে। আমি ধৈর্য ধরতে শিখছি, বিশেষ করে অনিশ্চয়তার সাথে। প্রতিদিনের দিনটা উপভোগ করছি, শরীরের কথা শুনছি এবং নিজেকে সুস্থ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিচ্ছি।”
গত মার্চ মাসে কেট তার ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশ করেন। এর আগে, তিনি পেটের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন, যা প্রথমে ক্যান্সার-মুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পরে পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা ছিল তার জন্য “বিশাল ধাক্কা”।
কেট এবং প্রিন্স উইলিয়াম তাদের পরিবারের ছোট সদস্যদের কথা ভেবে বিষয়টা গোপন রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে: ১১ বছর বয়সী প্রিন্স জর্জ, ১০ বছর বয়সী প্রিন্সেস শার্লট এবং ৭ বছর বয়সী প্রিন্স লুই।
ক্যান্সার একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা শুধু একজন ব্যক্তির জীবনকেই নয়, বরং পুরো পরিবারের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। ক্যান্সার সোসাইটির মতে, শিশুদের কাছে এই রোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা কঠিন হতে পারে। তাদের বয়স এবং মানসিক পরিপক্কতার উপর নির্ভর করে, তারা এই খবরটি বিভিন্নভাবে অনুভব করতে পারে।
ক্যান্সার নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ হলে, চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
প্রিন্সেস কেটের এই কঠিন সময়ে, অনেকেই তাদের সমর্থন জানিয়েছেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। ক্যান্সার একটি চ্যালেঞ্জিং রোগ, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং মানসিক সমর্থনের মাধ্যমে এই লড়াই জয় করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: হেলথলাইন