শিরোনাম: ফ্যাশন জগতে প্রিন্সেস কেট: তরুণ ডিজাইনারদের উৎসাহ ও প্রকৃতির প্রতি গভীর অনুরাগ।
যুক্তরাজ্যের ফ্যাশন জগতে এক উজ্জ্বল উপস্থিতি প্রিন্সেস কেট মিডলটনের। গত ১৩ই মে, মঙ্গলবার, তিনি ব্রিটিশ ফ্যাশন কাউন্সিলের হয়ে অষ্টম কুইন এলিজাবেথ II অ্যাওয়ার্ড ফর ব্রিটিশ ডিজাইন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি তরুণ এবং প্রতিভাবান ব্রিটিশ ডিজাইনারদের কাজের স্বীকৃতি দেন।
প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, কেট মিডলটন, শিল্পকলা এবং নকশার প্রতি গভীর আগ্রহ রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আর্ট হিস্টরি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি এসেছিলেন ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের ডিজাইন করা একটি জলপাই রঙের স্যুট পরে। সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁর রুচিশীল পোশাক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে, কেট বিজয়ী ডিজাইনারের পপ-আপ স্টুডিওতে যান, যেখানে টেকসই ডিজাইন তৈরির প্রক্রিয়া তিনি প্রত্যক্ষ করেন। এরপর তিনি ব্রিটিশ ফ্যাশন কাউন্সিল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত, উদীয়মান ডিজাইনারদের সঙ্গে মিলিত হন। এই ফাউন্ডেশন নতুন প্রতিভাদের শিক্ষা, আর্থিক সহায়তা এবং ব্যবসার দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রিন্সেস কেট, ব্রিটিশ ফ্যাশন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারোলিন রাশ এবং লরা উইয়ারের সঙ্গে কুইন এলিজাবেথ II অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন। ফ্যাশন জগতে কেটের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তাঁর পোশাক নির্বাচনের একটি বিশেষ প্রভাব রয়েছে, যা ‘কেট ইফেক্ট’ নামে পরিচিত।
তাঁর পরিধান করা পোশাকগুলি দ্রুত বিক্রি হয়ে যায় এবং ফ্যাশন জগতে একটি নতুন ধারার সৃষ্টি হয়। জানুয়ারিতে, তিনি সাউথ ওয়েলসের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় গিয়েছিলেন, যেখানে পোশাক তৈরির প্রক্রিয়াটি তিনি কাছ থেকে দেখেন।
শুধু ফ্যাশন জগৎ নয়, প্রকৃতির প্রতিও কেটের গভীর ভালোবাসা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি তাঁর ক্যান্সার থেকে আরোগ্য লাভের কথা জানান এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সপ্তাহে প্রকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “গত এক বছর ধরে, প্রকৃতি আমার আশ্রয়স্থল।
প্রকৃতির অসীম ক্ষমতা রয়েছে আমাদের অনুপ্রাণিত করতে, লালন করতে এবং আমাদের সুস্থ করতে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ এটি উপলব্ধি করেছে।” প্রকৃতির মাধ্যমেই আমরা সবকিছুর পারস্পরিক সম্পর্ক, ভারসাম্য এবং স্থিতিশীলতার গুরুত্ব অনুভব করতে পারি।
উল্লেখ্য, কুইন এলিজাবেথ II অ্যাওয়ার্ড ফর ব্রিটিশ ডিজাইন প্রথমবার ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিচার্ড কুইনকে দেওয়া হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: পিপল