প্রকৃতির কোলে: কেট ও উইলিয়ামের স্কটিশ দ্বীপের মনোমুগ্ধকর ভ্রমণ!

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন বর্তমানে স্কটল্যান্ড সফরে রয়েছেন। তাঁরা সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এই সফরটি তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর দিন শুরু হয়েছিল।

প্রিন্স ও প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, যারা স্কটল্যান্ডে ডিউক ও ডাচেস অফ র многоеsay নামে পরিচিত, গত ৩০শে এপ্রিল স্কটিশ দ্বীপপুঞ্জে প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটান। তাঁরা আরদুরা কমিউনিটি ফরেস্টে যান এবং সেখানকার কান্ট্রিসাইড রেঞ্জার্স-এর সঙ্গে মিলিত হন। এই রেঞ্জার্সরা দ্বীপ দুটিতে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তাঁরা স্থানীয় একটি স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গেও মিলিত হন। এই শিশুরা আরদুরা অরণ্যে আউটডোর শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশ নেয়। ডিউক ও ডাচেস শিশুদের সঙ্গে প্রকৃতির গুরুত্ব এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রকৃতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। শিশুদের সঙ্গে তাদের মিশে যাওয়া ও তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রকৃতি প্রেম জাগিয়ে তোলার এই প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্সেস কেট এর আগে আরদুরা অ্যাকর্न्स-এর সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এই আউটডোর শিক্ষা গ্রুপটি ০ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রকৃতিতে হাঁটা, ডেরা তৈরি, পশুপাখি চিহ্নিত করা এবং গল্প বলা ইত্যাদি।

প্রিন্সেস কেট শিশুদের জীবনের প্রথম পাঁচ বছরের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের গুরুত্ব দেন এবং ‘ফরেস্ট বাথিং’-এর মতো অনুশীলনেরও একজন সমর্থক। ক্যান্সার চিকিৎসার সময় প্রকৃতির সান্নিধ্য তাঁর কাছে গভীর অর্থ বহন করেছে। তিনি প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোকে নিজের মানসিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

এই সফরের আগে, ২৯শে এপ্রিল, তাঁদের বিবাহবার্ষিকীতে তাঁরা টোবারমোরি শহরে যান। সেখানে তাঁরা একটি কমিউনিটি হাব এবং একটি স্থানীয় বাজারে যান। পরে, তাঁরা দ্বীপের টেকসই কৃষি এবং আতিথেয়তা সম্পর্কে জানতে একটি স্থানীয় ক্রফ্টও পরিদর্শন করেন। এই সফরে তাঁদের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *