প্রিন্সেস শার্লটকে ‘স্পেয়ার’-এর যন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে চান উইলিয়াম ও কেট

রাজকুমারী শার্লটের রাজকীয় ভবিষ্যৎ: প্রিন্স উইলিয়াম ও কেটের কৌশল

প্রিন্সেস শার্লটের দশম জন্মবার্ষিকীতে, তাঁর বাবা-মা, প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্সেস কেট, তাঁদের মেয়ের রাজকীয় ভবিষ্যতের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। ভবিষ্যতের রাজা প্রিন্স জর্জের ছোট বোন হিসেবে শার্লটের অবস্থানটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিষয়ে তাঁর অভিভাবকেরা কীভাবে সবকিছু সামলাবেন, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে।

প্রিন্স হ্যারি, যিনিও ছোটবেলায় রাজপরিবারে “অতিরিক্ত” সদস্য হিসাবে বেড়ে উঠেছেন, তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে এই বিষয়ে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়েছে। রাজপরিবারের ইতিহাসে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা সদস্যদের জন্য অনেক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথও তাঁর পরিবারের এই দিকটি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তিনি তাঁর বোন মার্গারেট, ছেলে অ্যান্ড্রু এবং হ্যারির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতেন, কারণ তিনি জানতেন যে একটি কঠোর শ্রেণিবিন্যাসযুক্ত পরিবারে দ্বিতীয় স্থানে থাকার কী ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে।

রবার্ট হার্ডম্যান, যিনি রাজপরিবার নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁর মতে, প্রিন্স উইলিয়াম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন, যা হল শুধু নিজে রাজা হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া নয়, বরং তাঁর সন্তানদের কাছে রাজকীয় জীবনকে সহজ ও ভীতিমুক্ত করে তোলা।

প্রিন্স ও প্রিন্সেস অফ ওয়েলসের তিনটি সন্তান—প্রিন্স জর্জ (১১ বছর), প্রিন্সেস শার্লট (১০ বছর) এবং প্রিন্স লুই (৭ বছর)।

প্রিন্স হ্যারি তাঁর স্মৃতিকথা “স্পেয়ার”-এ তাঁর রাজকীয় জীবনের কিছু কষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর ভাই উইলিয়ামের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং নিজেকে অবমূল্যায়িত মনে করার মতো কিছু মুহূর্তের কথাও জানান।

ভবিষ্যতে, শার্লট তাঁর পিসি, প্রিন্সেস অ্যানের মতো “প্রিন্সেস রয়্যাল” উপাধি পেতে পারেন। যদিও এই উপাধিটি রাজার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল, শার্লট চাইলে তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন।

প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্সেস কেট, যারা ২৯শে এপ্রিল তাঁদের ১৪তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছেন, তাঁরা রাজকীয় দায়িত্ব এবং পারিবারিক জীবনের মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।

একজন পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন, পরিবারকে সঠিক পথে রাখাটা তাঁদের জন্য অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যখন তাঁদের কাছ থেকে দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।

২০১৩ সালের “সাকসেশন টু দ্য ক্রাউন অ্যাক্ট”-এর কারণে শার্লট তাঁর ছোট ভাইয়ের কারণে সিংহাসনের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হননি। তিনি ২০১৬ সালের ২রা মে জন্মগ্রহণের পর, এই নিয়মের অধীনে প্রথম নারী সদস্য যিনি এই সুবিধা পান।

প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্সেস কেটের একমাত্র কন্যা এবং সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী হিসেবে শার্লট এমন এক রাজপরিবারে বেড়ে উঠছেন, যেখানে সংকট, আধুনিকতা এবং বাবা-মায়ের সচেতন সিদ্ধান্তগুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে, উইলিয়াম ও কেট শার্লটকে ব্যক্তিগত জীবন ও রাজকীয় কর্তব্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে বেড়ে উঠতে সাহায্য করছেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *