হলিউডের এক সময়ের প্রভাবশালী পরিচালক গ্যারি মার্শালের একটি সিদ্ধান্তের কারণে, খ্যাতিমান অভিনেত্রী ক্যাথি বেটস-কে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল। বিষয়টি সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে, যেখানে বেটস জানিয়েছেন, সৌন্দর্য্য বিষয়ক ধারণার কারণে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৮৭ সালে, অফ-ব্রডওয়ে মঞ্চে ‘ফ্র্যাঙ্কি অ্যান্ড জনি ইন দ্য ক্লিয়ার ডি লুন’ নাটকে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ক্যাথি বেটস। পরবর্তীতে, ১৯৯১ সালে এই নাটকের চলচ্চিত্র রূপান্তর করার সময় পরিচালক গ্যারি মার্শাল মনে করেন, বেটস-কে রোমান্টিক চরিত্রে মানানসই দেখাবে না।
তাই, তিনি মিশেল ফাইফারকে বেছে নেন, যিনি পরবর্তীতে আল পাচিনোর বিপরীতে অভিনয় করেন।
একটি সাক্ষাৎকারে, ৭৫ বছর বয়সী বেটস বলেন, “গ্যারি সম্ভবত দর্শকদের আমাকে পর্দায় চুমু খেতে দেখলে, রোমান্টিকতা অনুভব করতে পারবেন না বলেই এমনটা করেছিলেন।” যদিও বেটস-ই মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তবুও পরিচালকের এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেটস জানান, তিনি যখন একটি ম্যাগাজিনে ফাইফারের ছবি সহ ‘ফ্র্যাঙ্কি অ্যান্ড জনি’র প্রচার দেখতে পান, তখন তার মন খারাপ হয়েছিল। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একটি ফ্লাইটে উঠতে চেয়েছিলেন।
বেটস আরও জানান, হলিউডে প্রচলিত সৌন্দর্যের ধারণার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে তার অসুবিধা হতো।
“আমি সবসময় চেয়েছি চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হতে। কারণ, আমি অন্যদের মতো সুন্দরী নই।”
ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেও, বেটস তার অভিনয় জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।
তিনি মনে করেন, প্রচলিত সৌন্দর্যের ধারণার বাইরে গিয়েও একজন অভিনেত্রী হিসেবে সফল হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, “সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে আসা অভিনেত্রীদের ৪০ বছর বয়সের পর যখন কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যায়, তখন আমার ভালো লাগে।
কারণ, আমি তো সবসময়ই অভিনয়ে ছিলাম!”
ক্যাথি বেটসের এই অভিজ্ঞতা, হলিউডের সৌন্দর্য বিষয়ক ধারণা এবং অভিনেত্রীদের ক্যারিয়ারের ওপর এর প্রভাব নিয়ে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করে।
তথ্য সূত্র: পিপল