এখানে একটি নতুন সংবাদ নিবন্ধ লেখার পরিকল্পনা:
শিরোনাম: কাথি হিলটনের নতুন জুয়েলারি সংগ্রহ: ব্যক্তিগত স্মৃতি থেকে অনুপ্রাণিত, সাশ্রয়ী মূল্যে
কাথি হিলটন, যিনি একজন মার্কিন সমাজকর্মী এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, তাঁর ব্যক্তিগত জুয়েলারি সংগ্রহ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিখ্যাত জুয়েলারি ডিজাইনার আনা জাকারম্যানের সাথে মিলিত হয়ে একটি নতুন গহনার সংগ্রহ তৈরি করেছেন। এই গ্রীষ্মের জুয়েলারি সংগ্রহটি আগামী ১৬ই জুন বাজারে আসার কথা রয়েছে।
হিলটনের ব্যক্তিগত সংগ্রহে এলিজাবেথ টেলরের একজোড়া কানের দুলের মতো মূল্যবান অলঙ্কার রয়েছে। সেই মূল্যবান জিনিসগুলোর আদলে, সাশ্রয়ী মূল্যে, পরিবেশ-বান্ধব উপাদানে তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই সংগ্রহটি ডিজাইন করা হয়েছে। আনা জাকারম্যানের ডিজাইন করা সমস্ত গহনা তৈরি করা হয়েছে “ডায়মন্ড ক্রিস্টালাইন” ব্যবহার করে, যা পুনর্ব্যবহৃত ল্যাব-নির্মিত এবং মূল্যবান পাথর থেকে তৈরি করা হয়।
হিলটন জানিয়েছেন, “আমি চেয়েছিলাম আমার মা, শাশুড়ি এবং আমার স্বামী আমাকে যে উপহারগুলো দিয়েছেন, তাদের থেকে কিছু জিনিস নিয়ে আসতে, যেগুলোর জন্য আমি অনেক প্রশংসা পেয়েছি।” এই সংগ্রহের কিছু ডিজাইন হুবহু আসল অলঙ্কারের মতো, আবার কিছুতে নতুনত্ব যোগ করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ক্যালিস্টা নেকলেসটি তৈরি হয়েছে একটি গোলাপী হৃদয়ের স্যাফায়ার আংটি থেকে, যা তার স্বামী, রিক হিলটন, একসময় ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে উপহার দিয়েছিলেন।
এই গহনার দাম প্রায় ১২৫ ডলার থেকে শুরু করে ২,০০০ ডলার পর্যন্ত। হিলটন এবং জাকারম্যান আশা করছেন, মানুষ তাদের নিজস্ব কালেকশনে কাথি হিলটন x আনা জাকারম্যানের ডিজাইন করা গহনা যোগ করতে পারবে।
জাকারম্যান বলেন, “এটা অনেকটা ‘হোয়াইট লোটাস’-এর মতো, যা এখনো চলছে। কারণ, এখন অনেকেই আমাদের প্রথম সংগ্রহ সম্পর্কে জানেন। তাই, তারা এটা কিনেছেন, এবং এখন তারা এর সাথে কী পরবেন? মানুষ বছরে একবার পরার জন্য হাজার হাজার ডলার খরচ করে। এই গহনাগুলো বন্ধুদের সাথে লাঞ্চ বা ডিনার-এ পরে যাওয়া যায়, যা আপনার মুড ভালো করে।”
সংগ্রহটি প্রকাশের পর, হিলটন এবং জাকারম্যান সেপ্টেম্বরে রিজ-কার্লটন ইয়টে সেলিব্রিটি অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের সময় একটি বিশেষ প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও, তারা বেভারলি হিলসে একটি “সোশ্যাল ক্লাব” খোলারও পরিকল্পনা করছেন, যেখানে অতিথিরা তাদের জুয়েলারি সংগ্রহ দেখতে এবং কিনতে পারবেন।
এই নতুন গহনার সংগ্রহটি ফ্যাশন সচেতনতা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের কাছেও আকর্ষণীয় হতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল
