প্রকাশ্যে কায়লার কান্না! প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে জয়ে অবশেষে স্বস্তি!

জনপ্রিয় টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার কায়লা মালেক তার প্রাক্তন প্রেমিক ইভান জনসনের বিরুদ্ধে আনা গার্হস্থ্য সহিংসতার মামলায় অবশেষে জয়ী হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসী অঙ্গরাজ্যের একটি আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত জনসনকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়াও, কায়লার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নামে কোনো আইডি ব্যবহার করার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

খবর অনুযায়ী, কায়লা মালেকের প্রাক্তন প্রেমিক ইভান জনসন এর আগে মাদক দ্রব্য গ্রহণ করে গাড়ি চালানোর (DUI) অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, যা প্রমাণ হওয়ায় তার প্যারোলের শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। টেনেসী অঙ্গরাজ্যের আদালত জনসনকে দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার পর কায়লা মালেক তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, তিনি এখন নিরাপদ বোধ করছেন এবং আর ভীত নন। তিনি আরও জানান, এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াই এবং নিউইয়র্কের মতো বিভিন্ন স্থানে জনসনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।

বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় তার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।

কায়লা মালেক, যিনি টিকটকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ ফলোয়ারের অধিকারী, জানিয়েছেন, এই মামলার রায় তার জন্য অনেক বড় একটি স্বস্তি এনে দিয়েছে। নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি। এর মাধ্যমে তার (জনসন) কৃতকর্মের ফল তিনি পেয়েছেন। এটা আমাদের সবার জয়।”

উল্লেখ্য, কায়লা মালেক গত এপ্রিল মাসের শুরুতে তার “চরম abuse”-এর শিকার হওয়ার কথা প্রথম প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিক নির্যাতন চলছিল।

টিকটক এবং ইউটিউবে একাধিক ভিডিওর মাধ্যমে তিনি তার উপর হওয়া নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন।

যদি কোনো ব্যক্তি গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকার হন, তবে ন্যাশনাল ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হটলাইনে (১-৮০০-৭৯৯-৭২33) ফোন করে অথবা thehotline.org ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন। এই হটলাইনটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এবং ১৭০টির বেশি ভাষায় সহায়তা পাওয়া যায়।

এছাড়া, বাংলাদেশেও এ ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়া নারীদের জন্য বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সাথেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *