কেস জিতে নিলেন হুইসেলব্লোয়াররা! কেন প্যাক্সটনকে নিয়ে এত বিতর্ক?

টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলার কারণে বরখাস্ত হওয়া চারজন হুইসেলব্লোয়ারকে ৬.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার ট্রাভিস কাউন্টি জজ ক্যাথরিন মউজি এই রায় দেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় (Office of the Attorney General) টেক্সাস হুইসেলব্লোয়ার আইন লঙ্ঘন করেছে।

কেন প্যাক্সটন এবং তার অফিসের বিরুদ্ধে যারা ‘সৎ উদ্দেশ্যে’ অভিযোগ করেছিলেন, তাদের বরখাস্ত করার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

অভিযোগ ছিল, প্যাক্সটন তার অফিসের ক্ষমতা ব্যবহার করে অস্টিনের একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন।

ওই ডেভেলপারের সঙ্গে প্যাক্সটনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এমন একজন নারীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তিনি এই কাজ করেন।

যদিও প্যাক্সটন বরাবরই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আদালতের রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মচারীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ‘সৎ উদ্দেশ্যে’ অভিযোগগুলি করেছিলেন।

এমনকি, এই মামলায় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বা অভিযোগগুলোর বিষয়ে প্যাক্সটনের অফিস কোনো ধরনের আপত্তি জানায়নি।

আদালতের এই রায়ের পর হুইসেলব্লোয়ারদের আইনজীবী টম নেসবিট এবং ডেভিড ম্যাক্সওয়েল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে, টেক্সাসের প্রধান আইন কর্মকর্তা কেন প্যাক্সটন নিজেই আইন ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন।

আর এই মামলায় সেটাই ঘটেছে।”

অন্যদিকে, রিপাবলিকান দলের সদস্য কেন প্যাক্সটন এই রায়কে ‘হাস্যকর’ এবং ‘তথ্য ও আইনের পরিপন্থী’ বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করারও ঘোষণা দিয়েছেন।

২০২০ সালে আটজন কর্মচারী ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (এফবিআই) প্যাক্সটনের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ জানান।

এর পরেই এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

২০২৩ সালে প্যাক্সটন চারজন হুইসেলব্লোয়ারের সঙ্গে ৩.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছান এবং তাদের কাছে ক্ষমাও চান।

তবে তিনি কোনো ভুল স্বীকার করেননি।

যদিও, রাজ্য আইনপ্রণেতারা এই ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে রাজি হননি।

পরে টেক্সাস হাউজ নিজস্ব তদন্ত করে এবং প্যাক্সটনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনে।

যদিও সিনেটে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।

এই ঘটনার জেরে মার্কিন বিচার বিভাগও প্যাক্সটনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল।

তবে বাইডেন প্রশাসনের শেষ সপ্তাহে সেই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বর্তমানে, রিপাবলিকান পার্টির প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত প্যাক্সটন সম্ভবত মার্কিন সিনেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *