ঐতিহ্যপূর্ণ কেনটাকি ডার্বিতে জুয়ার বিপুল উত্থান, বাড়ছে বাজি: বাজির অঙ্ক কোটিতে।
প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া কেনটাকি ডার্বি, যা ঘোড়দৌড়ের জগৎ-এ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে, সেখানে জুয়ার পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এই বছর, ১৫১তম কেনটাকি ডার্বিতে বাজি ধরা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
এই ঘটনা ক্রীড়া প্রেমীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
জানা গেছে, শুধু মূল দৌড় প্রতিযোগিতাতেই প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি বাজি ধরা হয়েছে, যা ২০০৪ সালের তুলনায় প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বেশি। বাজি ধরার এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়, কেনটাকি ডার্বি শুধু একটি খেলা নয়, বরং এটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বটে।
এই প্রতিযোগিতার আকর্ষণ শুধু ঘোড়দৌড়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িত ঐতিহ্য, ফ্যাশন এবং পানীয়ও এটিকে বিশেষ করে তোলে।
উদাহরণস্বরূপ, ডার্বির সময় মিন্ট জুলেপ নামক একটি বিশেষ ধরনের পানীয়ের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। শুধু মে মাসেই গুগলে এই পানীয়টি খুঁজে বের করার প্রবণতা ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যা ডার্বির জনপ্রিয়তাকে আরও একবার প্রমাণ করে।
অন্যদিকে, এই খেলার দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে কিছু ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঘোড়দৌড়কে যারা তাদের পছন্দের খেলা হিসেবে মনে করেন, তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৩৭ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বাজি ধরা এখন অনেক সহজ হয়েছে। স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে কয়েক ক্লিকেই যে কেউ বাজি ধরতে পারছে।
তবে, ঐতিহ্যপূর্ণ এই খেলার সঙ্গে দর্শকদের আবেগ এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব এখনো আগের মতোই রয়েছে।
কেনটাকি ডার্বির এই বিপুল পরিমাণ বাজির অঙ্ক বাংলাদেশের ক্রীড়া প্রেমীদেরও বিশেষভাবে আকর্ষণ করতে পারে। কারণ, খেলাধুলার প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আগ্রহ অনেক।
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, খেলাধুলা এবং বাজি উভয়ই একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক বিষয়। একদিকে যেমন এটি বিনোদনের একটি মাধ্যম, তেমনি এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশাল অঙ্কের অর্থ এবং মানুষের আবেগ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন