বিচারককে গুলি: প্রাক্তন শেরিফের মানসিক অবস্থা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

শিরোনাম: বিচারককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে প্রাক্তন শেরিফ, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের একটি আদালতে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় সাবেক শেরিফ শান “মিকি” স্টাইনস-এর বিরুদ্ধে বিচারক কেভিন মুলাসের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর স্টাইনসের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।

ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকেই তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, লেচার কাউন্টির প্রাক্তন শেরিফ স্টাইনস বিচারক মুলাসের অফিসে ঢুকে গুলি করেন। ঘটনার সময় বিচারক তার ডেস্কে বসে ছিলেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, স্টাইনস বিচারককে নয়বার গুলি করেন, যার মধ্যে সাতটি গুলি করা হয় যখন বিচারক মাটিতে পড়ে ছিলেন।

ঘটনার পর, স্টাইনসকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জামিন অযোগ্য অবস্থায় আটক রয়েছেন।

শুনানিতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

আদালতে পেশ করা নথিপত্র থেকে জানা যায়, ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকেই স্টাইনস মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন। একজন সমাজকর্মী তাকে পরীক্ষা করে জানান, স্টাইনস “মানসিক বিকারগ্রস্ত অবস্থায়” ছিলেন এবং তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না।

স্টাইনসের আইনজীবীরা এই যুক্তিতে মামলাটি খারিজ করার চেষ্টা করছেন যে, প্রসিকিউটররা গ্র্যান্ড জুরির কাছে সমস্ত মেডিক্যাল রেকর্ড পেশ করেননি। তারা দাবি করছেন, ঘটনার সময় স্টাইনস “মানসিক ভারসাম্যহীন” ছিলেন।

আদালতে পেশ করা নথিতে আরও জানা যায়, ঘটনার আগে শেরিফ স্টাইনস একটি দেওয়ানি মামলার চাপে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এক ডেপুটিকে নারী আসামীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতা করেছেন।

এই ঘটনার জেরে বিচারক মুলাসের অফিসেও কিছু ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ।

ঘটনার কয়েক দিন আগে, স্টাইনসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীরা জানান, তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। তাদের মতে, একটি দেওয়ানি মামলার চাপ এবং ঘুমের অভাবের কারণে স্টাইনসের মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল।

এমনকি ঘটনার আগে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকির শিকার হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

আদালতের নথিতে আরও জানা যায়, ঘটনার আগের দিন স্টাইনস তার পারিবারিক ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ডাক্তারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি “তীব্র মানসিক চাপে” ছিলেন, তবে তিনি কোনো হতাশা, উদ্বেগ, বা আত্মহত্যার কথা জানাননি।

ঘটনার পর, লেসলি কাউন্টি জেলে স্টাইনসকে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তাকে বিভ্রান্ত, প্রতিক্রিয়াশীল এবং মানসিক অস্থির অবস্থায় পাওয়া যায়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে একটি অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।

তবে, ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। প্রসিকিউটর বা ডিফেন্স কেউই এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মামলার শুনানিতে, তদন্তকারীরা জানান, বিচারক মুলাসের ফোনের কল লিস্টে স্টাইনসের মেয়ের ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছিল।

তবে পরে জানা যায়, ঘটনার দিন স্টাইনসই বিচারকের ফোন ব্যবহার করে তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

এই মামলার শুনানির পরবর্তী কার্যক্রম এখনো চলছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *