আতঙ্কের রাতে কর্মীদের তৎপরতা, রক্ষা পেল জীবন! কেন এমন ঘটনা?

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যে টর্নেডোর পূর্বাভাস প্রদানে আবহাওয়া অফিসের কর্মী সংকট।

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যে সম্প্রতি আঘাত হানা বিধ্বংসী টর্নেডোগুলোর সময় সেখানকার আবহাওয়া অফিসের কর্মীর স্বল্পতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (NWS) অফিসের কর্মীরা এই পরিস্থিতিতেও সময় মতো সতর্কবার্তা জারি করতে সক্ষম হয়েছিলেন, কিন্তু এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে কর্মী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে সামনে এসেছে।

জানা গেছে, কেনটাকির জ্যাকসন শহরে অবস্থিত NWS অফিসে কর্মীর সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। এই অফিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কর্মীদের অভাবের কারণে অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করা সম্ভব হয় না। তবে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টর্নেডোর পূর্বাভাস দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। মারাত্মক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য কর্মীদের সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করেছিলেন।

আবহাওয়া অফিসের কর্মীদের সংগঠন NWS কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি টম ফাহি জানান, কর্মীদের স্বল্পতা সত্ত্বেও পূর্বাভাসগুলো নির্ভুল ছিল। স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক NOAA-এর একজন কর্মচারী জানান, দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদানের জন্য কর্মীদের একত্রিত হতে হয়েছিল।

আগের সরকারের কিছু নীতির কারণে NWS-এ প্রায় ৫৬০ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছিলেন। জ্যাকসন অফিসের আবহাওয়াবিদদের ৩১ শতাংশ পদ এখনো খালি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) ১৫৫ জন আবহাওয়াবিদ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞকে জরুরি ভিত্তিতে কম কর্মী রয়েছে এমন অফিসগুলোতে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, কর্মীদের এই সংকট চলতে থাকলে পূর্বাভাস প্রদানে সমস্যা হতে পারে এবং কর্মীদের মধ্যে কাজের চাপ বাড়তে পারে। এমনকি, অনেক অফিসে ২৪ ঘণ্টা ধরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়াও সম্ভব হবে না। এর ফলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পূর্বাভাস প্রদানে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে, সময় মতো আবহাওয়ার পূর্বাভাস জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আবহাওয়া অফিসের সক্ষমতা কতটা জরুরি।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *