মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা! ভয়ঙ্কর সাপের কামড়ে চিড়িয়াখানার পরিচালকের জীবন বাঁচানো গেল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিড়িয়াখানার পরিচালক মারাত্মক একটি সাপের কামড় থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কেনটাকি রেপটাইল চিড়িয়াখানার কো-ডিরেক্টর জিম হ্যারিসনের সঙ্গে।

জানা গেছে, তিনি অ্যান্টি-ভেনম তৈরির উদ্দেশ্যে গবেষণা করার জন্য সাপগুলির প্রজনন করাচ্ছিলেন। সেই সময়ে জেমসনের মাম্বা নামের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত সাপ তাকে কামড় দেয়।

আফ্রিকার বিষধর সাপ হিসেবে পরিচিত জেমসনের মাম্বা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই হ্যারিসনের শরীরে মারাত্মক প্রভাব দেখা যায়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অ্যান্টি-ভেনম প্রয়োগ করা হয়।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হ্যারিসনের শরীরে নিউরোটক্সিন ছড়িয়ে পরেছিল, যার কারণে তার স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব পড়েছিল।

চিকিৎসকদের তৎপরতায় দ্রুত সুস্থ হতে শুরু করেন হ্যারিসন। তবে এখনো তিনি কিছু শারীরিক সমস্যা অনুভব করছেন।

কামড়ের স্থানে মাঝে মাঝে তীব্র ব্যথা অনুভব করছেন তিনি। হ্যারিসন জানিয়েছেন, সাপের কামড়ের কারণে তার পেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

হ্যারিসন এর আগেও অন্তত ১৬ বার সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা তার কাছে নতুন নয়।

তবে জেমসনের মাম্বা সাপের কামড়ের অভিজ্ঞতা এই প্রথম।

চিকিৎসকদের মতে, হ্যারিসন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। খুব শীঘ্রই তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরতে পারবেন।

তবে তিনি জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই তিনি কাজে যোগ দিতে চান। হ্যারিসন জানান, তিনি এই সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা করছিলেন, যা ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে ওপিওড-এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

ওপিওড-এর আসক্তি সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্যের কারণে, বিকল্প ব্যথানাশক আবিষ্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। হ্যারিসন জানান, তিনি চান এই সাপের বিষের মাধ্যমে এমন একটি ওষুধ তৈরি করতে, যা মানুষকে ব্যথামুক্ত করবে, কিন্তু আসক্তি তৈরি করবে না।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *