বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পাঠ চুকিয়ে যারা নতুন করে জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় চরিত্র কার্মিট দ্য ফ্রগ।
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
হাঁটা-চলার জগতে কার্মিটের আগমন ১৯৫৫ সালে। এরপর থেকে তিনি শিশুদের পাশাপাশি বড়দের কাছেও সমান জনপ্রিয়।
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানায়, এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে কার্মিটকে নির্বাচন করা হয়েছে।
এই খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, কার্মিট সবসময়ই মানুষের মধ্যে আশা ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেন।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কীভাবে হাসিখুশি থাকা যায়, তা তিনি তার কাজের মাধ্যমে দেখিয়েছেন।
কার্মিট দ্য ফ্রগের সঙ্গে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
জনপ্রিয় এই পুতুল চরিত্রের স্রষ্টা, জিম হেনসন, ১৯৬০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি গৃহ অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
মায়ের কোট ও একটি টেনিস বলের অর্ধেক কেটে কার্মিটের প্রথম রূপ দেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জিম হেনসন ও কার্মিটের একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড্যারিল জে. পাইনস এই বিষয়ে বলেন, “আমাদের গ্র্যাজুয়েট ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কার্মিটের মতো বিশ্বখ্যাত একজন ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়াটা খুবই আনন্দের হবে।
কার্মিট নিজেও এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে পেরে আনন্দিত।
তিনি বলেন, “মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলতে পারাটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের।
আমি বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
একটি ব্যাঙের সামান্য অনুপ্রেরণামূলক কথা যদি তাদের কাজে লাগে, তাহলে আমি সেখানে থাকব।
আশা করা হচ্ছে, কার্মিটের এই আগমন শিক্ষার্থীদের নতুন পথে আরও বেশি উৎসাহ যোগাবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস