বদলে যাচ্ছে সময়! ডি ব্রুইনার এমএলএস যাত্রা: আলোড়ন সৃষ্টি?

পশ্চিমবঙ্গের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য, ইউরোপের মাঠ কাঁপানো তারকা কেভিন ডি ব্রুইন-এর মেজর লীগ সকারে (MLS) যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। ম্যানচেস্টার সিটির এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার সম্ভবত শীঘ্রই পাড়ি জমাতে পারেন আমেরিকায়, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

ডি ব্রুইনের বয়স এখন তেত্রিশ, এবং মাঠের পারফরম্যান্সে হয়তো আগের সেই ক্ষিপ্রতা নেই, কিন্তু তাঁর খেলার ধার এখনও একইভাবে মুগ্ধ করে ফুটবল বিশ্বকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডি ব্রুইনের MLS-এ যাওয়াটা শুধুমাত্র তাঁর জন্য নয়, বরং আমেরিকান লিগের জন্যও একটা বড় সুযোগ। MLS প্রায়শই তারকা খেলোয়াড়দের জন্য একটা ‘অবসর-লীগ’ হিসেবে পরিচিত, যেখানে খেলোয়াড়রা তাঁদের ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে মোটা অঙ্কের চুক্তিতে যোগ দেন।

তবে ডি ব্রুইনের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম। তিনি এখনও খেলার ময়দানে যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং তাঁর অভিজ্ঞতা MLS-এর তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে।

ডি ব্রুইনের মাঠের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতি কিছুটা কমলেও, তাঁর পাসিং দক্ষতা, বল কন্ট্রোল এবং খেলার পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা এখনো আগের মতোই রয়েছে। তাঁর উপস্থিতি যে কোনো দলের মাঝমাঠের শক্তি বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।

মেসি এবং বুস্কেটস-এর মতো তারকারা ইতিমধ্যেই MLS-এ খেলছেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা লিগের মান উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে।

ডি ব্রুইনের সম্ভাব্য চুক্তির অঙ্ক নিয়েও জল্পনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, তিনি বছরে প্রায় ১৯.২ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬০ কোটি টাকার বেশি) উপার্জন করতে পারেন।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ অবশ্যই MLS-এর দলগুলোর জন্য একটি বড় বিনিয়োগ। তবে ডি ব্রুইনের মতো একজন তারকার উপস্থিতি মাঠের বাইরেও লিগের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করবে, যা বাণিজ্যিক দিক থেকেও লাভজনক।

ফুটবলবোদ্ধারা মনে করেন, ডি ব্রুইনের MLS-এ যাওয়াটা একটি সাহসী পদক্ষেপ হতে পারে। খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা, খেলার ধরন এবং মাঠের বাইরের ব্যক্তিত্ব—সবকিছুই MLS-এর জন্য মূল্যবান সম্পদ।

যদিও বয়স একটি ফ্যাক্টর, তবে ডি ব্রুইনের দক্ষতা এবং খেলার প্রতি প্যাশন এখনো ফুরিয়ে যায়নি।

সুতরাং, ডি ব্রুইনের MLS-এ যাওয়াটা নিছক একটি ‘অবসর’ নেওয়ার ঘটনা নাও হতে পারে। বরং, এটি হতে পারে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ, যেখানে তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে বয়স কেবল একটি সংখ্যা এবং ফুটবল খেলার প্রতি তাঁর ভালোবাসা এখনো অটুট।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *