পেন্টাটোনিক্স ব্যান্ডের শিল্পী কেভিন ওলুসোলা এবার এক নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘ডন অফ আ মিসফিট’ নিয়ে।
এই অ্যালবামের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন স্বয়ং জনপ্রিয় র্যাপার জে-জেড। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ওলুসোলা জানিয়েছেন তাঁর এই নতুন যাত্রার কথা।
ছেচল্লিশ বছর বয়সী ওলুসোলা জানান, জে-জেড-এর একটি গানের কথা তাঁকে এই একক অ্যালবাম তৈরিতে উৎসাহিত করেছে।
জে-জেড-এর ২০০৯ সালের ‘অন টু দ্য নেক্সট ওয়ান’ গানটির একটি লাইন, “যদি তোমরা আমার পুরনো গান পছন্দ করো, তবে সেগুলো কিনো” – এই ভাবনা থেকেই তিনি নিজের নতুন পরিচয় তুলে ধরার কথা ভেবেছেন।
তাঁর মতে, যারা পেন্টাটোনিক্স-এ তাঁকে পছন্দ করেন, তাঁরা সেখানে তাঁকে দেখতে থাকুন, কিন্তু একজন মানুষ, একজন বাবা হিসেবে তাঁর যে বিবর্তন, সেটাই এই অ্যালবামে তুলে ধরা হয়েছে।
ওলুসোলা আরও বলেন, এই অ্যালবামটি হয়তো শ্রোতাদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে, তবে তিনি এতে মোটেও বিচলিত নন।
কারণ, তিনি সবসময় একজন ‘মিসফিট’ বা অন্যরকম মানুষ হিসেবে নিজেকে অনুভব করেছেন।
তাঁর প্রত্যাশা, যারা এই অ্যালবাম শুনবেন, তাঁরা যেন তাঁদের ভেতরের ‘মিসফিট’-কে ভালোবাসতে পারেন।
তিনি মনে করেন, সমাজে যারা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন না, তাঁদের ভিন্নতাই একদিন তাঁদের জগৎ বদলে দেবে।
এই অ্যালবামে বিভিন্ন ধরনের গান রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে বাদ্যযন্ত্রের সুর, পপ গান, এমনকি ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের অংশও।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য স্যাম কুকের ‘এ চেঞ্জ ইজ গনা কাম’ এবং গানার্লস বার্কলির ‘ক্রেজি’-র মতো জনপ্রিয় গান।
এছাড়াও, ভিভালদি এবং বিটোফেনের মতো শিল্পীদের ক্লাসিক্যাল সুরের নমুনাও এতে ব্যবহার করা হয়েছে।
মেয়ের প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি মিষ্টি গানও রয়েছে এই অ্যালবামে।
আসলে, ওলুসোলা একজন সেলোবাদক এবং ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
তাঁর প্রধান আকর্ষণ ‘ডার্ক উইন্টার’ গানটি।
জানা যায়, একসময় ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে প্রি-মেড স্টুডেন্ট হিসেবে পড়াশোনা করার সময় তিনি চীন দেশে গিয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
তবে ২০১১ সালে সহশিল্পী ক্রিস্টিন মালডোনাডো, মিচ গ্রাসি এবং স্কট হয়িং-এর একটি ভিডিও দেখার পর তাঁর জীবন মোড় নেয়।
সেই ভিডিওতে তিনি মার্ক সামারের ‘জুলি-ও’-এর সাথে বিটবক্সিং করতে করতে সেলো বাজাচ্ছিলেন।
সেই ঘটনার পরেই তিনি এমন একটি পেশায় আসেন, যা আগে তিনি কল্পনাও করেননি।
নিজের এই নতুন অ্যালবাম তৈরির অভিজ্ঞতা নিয়ে ওলুসোলা বলেন, এই কাজটি তাঁর জন্য একটি ‘আরোগ্য প্রক্রিয়া’ ছিল, যা তাঁকে তাঁর জীবনের বিভিন্ন পরিচয় নিয়ে ভাবতে সাহায্য করেছে।
তাঁর মতে, এই অ্যালবামটি যেন তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল