গাছের যাদুকরী ক্ষমতা! আপনার বাগানে এখনই লাগান, জীবন বদলে যাবে!

বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এমন কিছু উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে, যাদের ‘কী স্টোন প্রজাতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরিবেশবিদদের মতে, এই বিশেষ উদ্ভিদগুলো স্থানীয় প্রতিবেশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে এবং পোকামাকড়ের খাদ্য সরবরাহ করে বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শৃঙ্খলকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে।

এমনকি বাড়ির আঙিনায় বা টবে একটি ‘কী স্টোন প্রজাতি’ রোপণ করেও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ডগ টালমির গবেষণা অনুযায়ী, সেখানকার বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এমন কিছু উদ্ভিদ প্রজাতি চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁর নতুন বই ‘হাউ ক্যান আই হেল্প?’-এ তিনি এই ধরনের উদ্ভিদের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

যদি আমরা বাংলাদেশের প্রতিবেশ ব্যবস্থার দিকে তাকাই, তাহলে এখানেও এমন অনেক স্থানীয় উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে, যা কীট-পতঙ্গ এবং অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য ও আশ্রয় হিসেবে কাজ করে জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে।

উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ, যেমন – জাম (Syzygium cumini), কাঁঠাল (Artocarpus heterophyllus), এবং লিচু (Litchi chinensis) স্থানীয় পোকামাকড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সরবরাহ করে।

এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের বনজ উদ্ভিদ, যেমন – শাল (Shorea robusta), সেগুন (Tectona grandis), এবং গর্জন (Dipterocarpus turbinatus) গাছেরাও এখানকার প্রতিবেশে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

এইসব স্থানীয় উদ্ভিদ প্রজাতি শুধু পোকামাকড়ের খাদ্য সরবরাহ করে না, বরং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

এছাড়া, তারা বিভিন্ন পাখির আবাসস্থল তৈরি করে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

আমাদের দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রজাতির গাছ লাগানো অত্যন্ত জরুরি। এতে করে একদিকে যেমন প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকে, তেমনি স্থানীয় পোকামাকড় এবং অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণ সহজ হয়।

আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের আশেপাশের পরিবেশকে সবুজ করি, স্থানীয় প্রজাতির গাছ লাগাই এবং বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করি।

তথ্য সূত্র:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *