রান্নাঘরের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা শুধু একটি ফ্যাশন নয়, বরং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তোলে। একটি সুসংগঠিত রান্নাঘর থাকলে প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পাওয়া সহজ হয়, খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে এবং রান্নার প্রক্রিয়াটি আরও আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সেলিব্রিটিদের রান্নাঘরের সংগঠন বিষয়ক কিছু ধারণা অনলাইনে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম, ক্লোয়ে কার্দাশিয়ানের সুবিন্যস্ত প্যান্ট্রি বা খাদ্য রাখার স্থানটি অনেকের কাছেই ঈর্ষণীয়।
আসুন, জেনে নিই তার রান্নাঘরের সংগঠন থেকে আমরা কী শিখতে পারি এবং কীভাবে সেই ধারণাগুলো আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কাজে লাগানো যায়।
ক্লোয়ে কার্দাশিয়ানের প্যান্ট্রিতে বিভিন্ন ধরনের স্টোরেজ সলিউশন বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা দেখা যায়, যা আমাদের রান্নাঘরের জন্য অনুসরণযোগ্য। যেমন, তিনি “লেজি সুজান” ব্যবহার করেন, যা ঘুরন্ত ট্রে-এর মতো।
এটি কৌটা, তেল বা মশলার বয়াম ইত্যাদি রাখতে কাজে লাগে। আমাদের দেশের রান্নাঘরেও এই ধরনের ঘূর্ণায়মান ট্রে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা তাকের ভেতরের জিনিস সহজে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
বাজারে এখন বিভিন্ন আকারের এবং দামের লেজি সুজান পাওয়া যায়।
এছাড়াও, ক্লোয়ে তার আলমারি এবং ড্রয়ারগুলোকেও খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখেন। বিভিন্ন আকারের এবং ধরনের পার্টিশন ব্যবহার করে তিনি ছোট ছোট জিনিস, যেমন – চামচ, বাটি, বা শুকনো খাবার আলাদা করে রাখেন।
আমাদের দেশের বাজারেও বাঁশ বা কাঠের তৈরি ড্রয়ার অর্গানাইজার পাওয়া যায়, যা এই কাজে খুবই উপযোগী।
খাবার সংরক্ষণে এয়ারটাইট জার বা বায়ুরোধী জার-এর ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্লোয়ে তার প্যান্ট্রিতে এই ধরনের কাঁচের জার ব্যবহার করেন, যা শুকনো খাবার যেমন – ডাল, বাদাম, বিস্কুট ইত্যাদি সংরক্ষণে সাহায্য করে।
এতে খাবার সতেজ থাকে এবং সহজে নষ্ট হয় না। আমাদের দেশেও এই ধরনের জার পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন আকারের এবং দামে পাওয়া যায়।
রান্নাঘরের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, কুকি জার বা বিস্কুটের বয়াম, যা বিস্কুট, কুকি এবং অন্যান্য শুকনো খাবার সংরক্ষণে কাজে লাগে।
এছাড়াও, উইকার বা বেতের তৈরি ঝুড়ি ব্যবহার করে সবজি, ফল বা অন্যান্য জিনিস সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা যায়। লেবেল মেকার বা স্টিকার ব্যবহার করে প্রতিটি জিনিসের গায়ে লেবেল লাগিয়ে রাখলে, তা খুঁজে পেতে সুবিধা হয়।
আসলে, একটি সুসংগঠিত রান্নাঘর শুধু সুন্দর দেখায় তাই নয়, এটি আমাদের সময় এবং শ্রম দুটোই বাঁচায়। ক্লোয়ে কার্দাশিয়ানের রান্নাঘরের সংগঠন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমরাও আমাদের রান্নাঘরে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবন আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক হতে পারে।
তথ্য সূত্র: People