ডিডি-র (Diddy) বিরুদ্ধে চলমান মামলায় র্যাপার কিড কুডির সাক্ষ্য, প্রাক্তন প্রেমিকার উপর আক্রমণের অভিযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় র্যাপার কিড কুডি, যাঁর আসল নাম স্কট মেসকুডি, সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি ফেডারেল আদালতে হাজির হয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সঙ্গীত প্রযোজক ও র্যাপার শন কম্বস, যিনি ডিডি নামেই পরিচিত, তাঁর বিরুদ্ধে চলমান মামলায় সাক্ষ্য দিতেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এই মামলার প্রধান অভিযোগগুলো হলো চাঁদাবাজি, যৌন পাচার এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধ।
মামলার শুনানিতে ডিডি’র প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসান্ড্রা ভেনচুরার (ক্যাসি) দেওয়া সাক্ষ্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ক্যাসির অভিযোগ, ডিডি জানতে পারেন যে তিনি কিড কুডির সঙ্গে ডেটিং করছেন, এরপরই ডিডি তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। ক্যাসির ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে ডিডি তাঁকে একটি অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করেন এবং সেখানে তাঁদের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ডিডি তাঁর হাতে ওয়াইন খোলার কর্ক-স্ক্রু নিয়ে তেড়ে আসেন, যা ক্যাসির জীবননাশের হুমকি স্বরূপ ছিল।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে ক্যাসির আইনজীবী জানান, ডিডি শুধু ক্যাসির উপর হামলা চালাননি, বরং তিনি কিড কুডিকে ভয় দেখিয়েছিলেন। ডিডি নাকি বলেছিলেন, তিনি কিড কুডির গাড়ি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেবেন এবং তাঁর বন্ধুদের বিষয়টি দেখতে বাধ্য করবেন। ক্যাসির আরো অভিযোগ, ডিডি তাঁকে মারধরও করেছিলেন এবং তাঁর ব্যক্তিগত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার কিছুদিন পরেই কিড কুডির বাড়ির বাইরে তাঁর গাড়ি বিস্ফোরিত হয়। প্রসিকিউটরদের ধারণা, ডিডি নিজেই এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। এই মামলায় কিড কুডির সাক্ষ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ডিডি’র বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রমাণ জোগাতে পারে। প্রসিকিউটরদের মতে, ডিডি দীর্ঘদিন ধরে একটি অপরাধ চক্র পরিচালনা করে আসছিলেন এবং এর অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করেছেন।
শুনানিতে আরও জানা যায়, ডিডি’র বিরুদ্ধে মাদক রাখারও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, তাঁর কাছে নাকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছবিযুক্ত বড়ি পাওয়া গিয়েছিল। যদিও মাদক বা আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ ডিডি’র বিরুদ্ধে আনা হয়নি, তবে যৌন পাচার এবং চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগের কারণে তাঁর কারাদণ্ড হতে পারে। ডিডি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই মামলার রায় কী হয়, সেদিকে এখন সবার দৃষ্টি।
তথ্য সূত্র: পিপল