আব্রের্গো গার্সিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষীকে ফেরত পাঠাচ্ছে না সরকার!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা চলছে, যেখানে কিлмаয়ার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন হোসে রামোন হার্নান্দেজ রেইয়েস।

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে করা একটি চুক্তির কারণে তাকে এখনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে না। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, মামলার তদন্তে সহযোগিতার শর্তে হার্নান্দেজকে অন্তত এক বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

হোসে রামোন হার্নান্দেজ রেইয়েস এর আগেও অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। অবৈধভাবে অভিবাসী পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি, তিনি এর আগে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।

এছাড়াও, টেক্সাসের একটি কমিউনিটিতে মদ্যপ অবস্থায় গুলি ছোড়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ‘ডেডলি কন্ডাক্ট’-এর মামলাও রয়েছে।

আদালতের নথি থেকে জানা যায়, হার্নান্দেজকে ফেডারেল কারাগার থেকে একটি ‘হাফওয়ে হাউস’-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যেখানে তিনি আপাতত মুক্তিপ্রাপ্ত একজন কয়েদির মতো থাকবেন।

এরপর তাকে কমপক্ষে এক বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, অ্যাব্রেগোর বিরুদ্ধে চলমান মামলাটিতে হার্নান্দেজ রেইয়েস ‘প্রথম সহযোগী’। ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তথ্য অনুযায়ী, অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ২০২০ সালে টেনেসি হাইওয়ে টহল পুলিশ যে গাড়িতে করে অভিবাসী পাচারের সময় আটক করে, হার্নান্দেজ রেইয়েস সেই গাড়ির মালিক ছিলেন।

আদালতে অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের মক্কেলকে মুক্তি দেওয়ার পরে যেন দ্রুত বিতাড়িত করা না হয়, সে বিষয়ে তারা বিচারকের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছেন। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টেনেসির একটি ফেডারেল আদালত অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর আশঙ্কা ছিল, মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাব্রেগোকে আটক করে পুনরায় বিতাড়িত করা হতে পারে।

অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার আইনজীবীরা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, সরকার যেহেতু এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে, তাই তাদের মক্কেলকে যেন কারাগারেই রাখা হয়।

আদালতে অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। অ্যাব্রেগো গার্সিয়া মানব পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে নির্মাণ শ্রমিক অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ভুল করে তার নিজ দেশ এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি ব্যাপক সমালোচিত হয়।

পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাকে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয়।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *