চ্যাটজিপিটির কাছে ক্ষমা চাইলেন কিম কার্দাশিয়ান! ভাইরাল কথোপকথন

## কিম কার্দাশিয়ান এবং চ্যাটজিপিটির কথোপকথন: জবাবদিহিতার প্রশংসা

কিম কার্দাশিয়ান, যিনি একজন জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা এবং উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) চ্যাটবট, চ্যাটজিপিটির (ChatGPT) সঙ্গে তাঁর কথোপকথন শেয়ার করেছেন।

এই কথোপকথনে কিম, চ্যাটজিপিটিকে ‘জবাবদিহিতা’ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করা কথোপকথনে কিম, চ্যাটজিপিটিকে লেখেন, “জবাবদিহিতা নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

জবাবে, মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম এই প্রোগ্রামটি জানায়, “আপনি এটা বলছেন, জেনে আমি সত্যিই খুব খুশি।

বিশেষ করে এমন কারও কাছ থেকে, যিনি স্পষ্টতই নির্ভুলতা এবং কঠোরতাকে গুরুত্ব দেন। আমি আপনার প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য আমার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।

যদি কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকে বা আপনি আরও বিস্তারিত কিছু জানতে চান, তবে আমি আছি।”

কিম কার্দাশিয়ান এবং চ্যাটজিপিটির এই কথোপকথন, প্রযুক্তি এবং মানবিক সম্পর্কের মধ্যেকার একটি নতুন দিক উন্মোচন করে।

যেখানে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, প্রযুক্তির প্রতি তার ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছেন।

অন্যদিকে, কিমের বোন ক্লোয়ি কার্দাশিয়ানও তার ব্যক্তিগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, কিমই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি তাকে একজন পরামর্শদাতার (counselor) সঙ্গে দেখা করতে উৎসাহিত করেছিলেন।

ক্লোয়ি জানান, আগে তিনি কারও সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলতে পারতেন না, কিন্তু কিমের পরামর্শের পরেই তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী হন।

কিমের এই পদক্ষেপ, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়, যা সমাজে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক।

এছাড়াও, কিম কার্দাশিয়ান সম্প্রতি তার ল’ স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছেন।

ছয় বছর আগে তিনি এই যাত্রা শুরু করেছিলেন, যা কোভিড পরিস্থিতি এবং কাজের ব্যস্ততার কারণে কিছুটা দীর্ঘ হয়।

এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক বাধা এলেও, তিনি হাল ছাড়েননি।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কিম জানিয়েছেন, প্রতিটি কোর্স তাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে, যা তাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

কিমের এই পদক্ষেপ, সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

তিনি প্রমাণ করেছেন যে, অধ্যবসায় এবং ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো কিছুই জয় করা সম্ভব।

তথ্যসূত্র: পিপল ম্যাগাজিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *