এক সময়ের খ্যাতিমান মডেল এবং বর্তমানের সফল নারী উদ্যোক্তা কিমোরি লি সিমন্স, সম্প্রতি তার কৈশোর জীবনের একটি স্মৃতিচারণ করেছেন। আশি ও নব্বই দশকের শুরুতে যখন তিনি প্যারিসে মডেলিং করতেন, তখন তার ফোনের বিল শুনে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন।
সেই সময়ে আন্তর্জাতিক কল করার উচ্চ খরচ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তার মাসিক ফোন বিল ছিল প্রায় ৫০০০ মার্কিন ডলার!
কিমোরার ভাষ্যমতে, সেই সময়ে ‘কলিং প্ল্যান’ বা ওয়াইফাইয়ের মতো সুবিধা ছিল না। কারো সাথে কথা বলতে হলে ‘কালেক্ট কল’-এর সাহায্য নিতে হতো।
হয় নিজের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করতে হতো, না হয় অন্য কারো উপর বিলটি চাপানো যেত। তিনি মজা করে বলেন, “আমি প্রায়ই মাকে খুঁজতাম।”
কিমোরা জানান, সেই সময়ের খ্যাতিমান ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল লেগারফেল্ড তাকে একবার বলেছিলেন, “আমরা আগে যা করতাম, এখন তা সম্ভবত অবৈধ।” কিমোরার এই কথার মাধ্যমে বোঝা যায়, সেই সময়ে শিশুদের মডেলিং জগতে শ্রম আইন ততটা কঠোর ছিল না, যা বর্তমানে বিদ্যমান।
২০১৩ সালে ‘চাইল্ড মডেল অ্যাক্ট’ পাশের পর কিশোর মডেলদের সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
কিমোরার মেয়ে মিং লি সিমন্সের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, তার ফ্যাশন-এর সংগ্রহ তিনি মেয়েদের মাঝে ভাগ করে দিতে চান।
কিমোরার মতে, তার সংগ্রহে চমৎকার ব্যাগ, লাগেজ এবং জুয়েলারি রয়েছে। হয়তো এখনকার ফ্যাশনের সাথে সেগুলোর মিল নাও থাকতে পারে, কিন্তু তার প্রতিটি জিনিসের নিজস্ব একটি মূল্য আছে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে যেখানে মানুষ বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, সেখানে কিমোরার সেই সময়ের ফোন বিলের কথা শুনলে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।
একসময় যাদের আন্তর্জাতিক ফোন কলের জন্য এত বিশাল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়েছে, তারা এখন সহজেই তাদের প্রিয়জনদের সাথে নিয়মিত কথা বলতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল