একটি সন্ধ্যায়, বন্ধুত্বের অপ্রত্যাশিত ভাঙন আর এক অচেনা মানুষের অপ্রত্যাশিত দয়ার সাক্ষী ছিল এক নারী। তিনি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, যেখানে তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়।
অনুষ্ঠানের বিরতির সময়, তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, যা তিক্ততায় রূপ নেয়। বন্ধুটি এমন কিছু কথা বলেন যা শুনে তিনি খুবই আঘাত পান।
চারপাশের মানুষের কৌতূহল তাঁকে আরও বিব্রত করে তোলে। চোখের জলে তিনি সেখান থেকে সরে যান।
কান্নাভেজা অবস্থায় তিনি যখন বিশ্রামাগারে ছিলেন, তখন এক কর্মী তাঁর কাছে আসেন। তিনি জানতে চান, কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা।
বন্ধুত্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পেতে চাওয়া ওই নারী জানান, তিনি আর অনুষ্ঠানে ফিরতে চান না। কিন্তু সেই কর্মীর সহানুভূতি ছিল গভীর।
তিনি তাকে আশ্বাস দেন এবং অন্য একটি আসনে বসার প্রস্তাব দেন, যাতে তিনি শান্তিতে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারেন।
কর্মীর এই অপ্রত্যাশিত আচরণে নারীটি profundamente স্পর্শিত হন। তিনি জানান, একজন অপরিচিত মানুষের এই যত্ন, তার কাছে অমূল্য ছিল।
তিনি বলেন, মানুষ যখন আঘাত পায়, তখন সামান্য সহানুভূতিও অনেক বড় হয়ে ওঠে। ওই কর্মীর মানবিকতা তাকে গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছিল।
অনুষ্ঠান শেষে, তিনি সেই কর্মীকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাকে খুঁজে পাননি। তিনি এখনো আশা করেন, ভবিষ্যতে আবার তার সঙ্গে দেখা হবে, যাতে তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, অপরিচিত মানুষের সামান্য সহানুভূতিও কতটা মূল্যবান হতে পারে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানুষের প্রতি মানুষের দয়া আজও বিদ্যমান।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান