আতঙ্কে কানাডা! ট্রাম্পের হুমকির মুখে কিং চার্লসের আগমন!

কানাডার সার্বভৌমত্বকে তুলে ধরতে কিং চার্লসের ঐতিহাসিক সফর।

অটোয়া, কানাডা – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডাকে অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনার মধ্যে দেশটির সার্বভৌমত্বকে আরো দৃঢ় করতে কানাডায় পৌঁছেছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস।

সোমবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) অটোয়ায় তাঁর আগমন উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, রাজার এই সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

কানাডার সরকারপ্রধান মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, রাজার এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে রাজা চার্লসকে পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এই ভাষণে নতুন পার্লামেন্টের জন্য সরকারের নীতি ও কর্মসূচি তুলে ধরা হবে।

কানাডা একসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশ ছিল এবং বর্তমানে কমনওয়েলথ ভুক্ত একটি দেশ।

ব্রিটেনের রাজা এখানকার রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী কার্নি এক বিবৃতিতে বলেন, “ঐতিহাসিক এই সম্মান আমাদের সময়ের গুরুত্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

এটি আমাদের ঐতিহ্য ও বন্ধুত্বের প্রতীক।

সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের প্রাণবন্ততা এবং আমাদের স্বকীয়তা, সেইসঙ্গে সংকটকালে টিকে থাকা ঐতিহাসিক বন্ধনেরও সাক্ষ্য বহন করে।”

কানাডার গভর্ণর জেনারেল মেরি সাইমন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “রাজা চার্লস ও কুইন ক্যামিলার এই সফর কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক।

এটি আমাদের ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং জাতীয় পরিচয়কে উদযাপন করার সুযোগ তৈরি করে।

কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।

তবে অনেক বিষয়েই তারা একে অপরের থেকে ভিন্ন।

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ চারেস্ত বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিন্ন।

রাজা চার্লস কেন ভাষণ দিচ্ছেন, তা বুঝতে হলে কানাডার ইতিহাস জানতে হবে।”

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হোকস্ট্রা অবশ্য বলেছেন, এই ধরনের বার্তা পাঠানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি মনে করেন, কানাডার উচিত “৫১তম রাজ্য”-এর ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা।

ঐতিহাসিক ক্যারোলিন হ্যারিস মনে করেন, ট্রাম্প এই সফরের দিকে নজর রাখবেন, কারণ তিনি রাজ পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা দেখান।

তিনি আরও বলেন, “কানাডার এই সফর ট্রাম্পকে দেশটি সম্পর্কে নতুন ধারণা দেবে।”

সাধারণত রাজার আসনে আসীন ব্যক্তিরা এ ধরনের ভাষণ দেন না।

ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর ৭০ বছরের শাসনামলে দু’বার এই কাজটি করেছিলেন।

সর্বশেষ ১৯৭৭ সালে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার রাজার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর বাইরে তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী কার্নির সঙ্গে বৈঠক করবেন।

কুইন ক্যামিলা একটি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

এই অনুষ্ঠানে তিনি কানাডার প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হবেন।

এই পদে থেকে তিনি রাজার কাছে দেশের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারবেন।

সফরের শেষে রাজা চার্লস কানাডার ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল পরিদর্শন করবেন এবং পরে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাবেন।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *