বাদশাহ চার্লসের বিদেশ সফরে আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে এক বিশেষ প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে বাকিংহাম প্যালেসে। আগামী ১০ই জুলাই থেকে ২৮শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে, যেখানে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বাদশাহর বিভিন্ন সফরকালে সংগৃহীত শিল্পকর্মগুলো।
প্রদর্শনীটিতে স্থান পাবে ৪২ জন শিল্পীর সৃষ্টি করা ৭০টিরও বেশি চিত্রকর্ম। এর মধ্যে অনেক শিল্পকর্ম আগে কখনো প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
বাদশাহ চার্লস নিজে শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক, এবং রাজকীয় সফরের সময় শিল্পকলার প্রতি তার এই আগ্রহ বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে।
১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রিন্স অফ ওয়েলস, চার্লস ইতালিতে এক সফরের সময় ব্রিটিশ শিল্পী জন ওয়ার্ডকে আমন্ত্রণ জানান, যিনি তাঁর চোখে দেখা দৃশ্যগুলো ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। সেই থেকেই শুরু হয় এই ঐতিহ্যের।
পরবর্তীতে বহু শিল্পী বাদশাহর বিভিন্ন দেশের সফরে সঙ্গী হয়েছেন এবং তাঁদের তুলিতে সেসব দেশের সংস্কৃতি ও প্রকৃতির চিত্র উঠে এসেছে।
এই প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ হলো শিল্পী রিচার্ড ফস্টারের একটি চিত্রকর্ম। ২০০৯ সালে বাদশাহ চার্লস এবং কুইন ক্যামিলার চিলি, ব্রাজিল ও ইকুয়েডর সফরের সময় তিনি গ্যালার্পাগোস দ্বীপপুঞ্জের একটি দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন।
এছাড়াও, ১৯৯৭ সালে হংকং-এর চীন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের সময় সুসানা ফাইনস-এর আঁকা ছবিও প্রদর্শিত হবে।
এই প্রদর্শনীর ধারণাটি এসেছে আর্ল অফ রস্লিনের কাছ থেকে, যিনি বর্তমানে রাজার লর্ড স্টুয়ার্ড এবং ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রদর্শনীটির পাশাপাশি ‘দ্য আর্ট অফ রয়্যাল ট্র্যাভেল: জার্নিস উইথ দ্য কিং’ নামে একটি সহায়ক গ্রন্থও প্রকাশিত হবে, যেখানে শিল্পীদের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টির বেশি চিত্রকর্মের ছবি থাকবে।
এই প্রদর্শনীতে শিল্পী মেরি অ্যান আইটন এলিস, যিনি ২০০০ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গায়ানা এবং জ্যামাইকা ভ্রমণে গিয়েছিলেন, তাঁর কাজও দেখা যাবে।
এছাড়াও, শিল্পী পল রেইডের ইতালি, তুরস্ক ও জর্ডান সফরের স্মৃতি বিজড়িত স্কেচগুলোও এখানে স্থান পাবে।
প্রদর্শনীটির কিউরেটর, কেট হার্ড এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই অসাধারণ চিত্রকর্মগুলো চল্লিশ বছরেরও বেশি সময়ের রাজকীয় ভ্রমণ এবং শিল্পকলার প্রতি রাজার পৃষ্ঠপোষকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
প্রতিটি শিল্পীকে তাঁদের নিজস্ব উপলব্ধির মাধ্যমে দেশগুলোকে চিত্রিত করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল, যা এই সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ তৈরি করেছে।”
তথ্যসূত্র: পিপলস