চার্লস-উইলিয়ামের যুগলবন্দী: ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে গোপন মিশনের সাক্ষী!

ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল ১৬ই মে। রাজা তৃতীয় চার্লস এবং প্রিন্স উইলিয়াম একসঙ্গে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ‘অর্ডার অফ দ্য বাথ’-এর বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের ঐতিহ্য: রাজা চার্লস ও প্রিন্স উইলিয়াম একসঙ্গে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। এই অনুষ্ঠানটি ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ছিল ‘অর্ডার’-এর ৩০০তম বার্ষিকী।

প্রতি চার বছর অন্তর এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রিন্স উইলিয়ামকে ‘অর্ডার’-এর ‘গ্রেট মাস্টার’ হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়। এই সময় তিনি শপথ গ্রহণ করেন এবং পাঁচজন নাইটকে সম্মানিত করেন।

‘অর্ডার অফ দ্য বাথ’ মূলত সামরিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়।

১৭২৫ সালের মে মাসে রাজা প্রথম জর্জ এই ‘অর্ডার’ তৈরি করেন। তবে এর ঐতিহ্য মধ্যযুগ পর্যন্ত বিস্তৃত।

জানা যায়, নাইট উপাধি পাওয়ার আগে সৈন্যদের আত্মশুদ্ধির প্রতীক হিসেবে একটি বিশেষ স্নান করতে হতো এবং সম্মান পাওয়ার আগের রাতে তারা জেগে থাকতেন।

‘অর্ডার অফ দ্য বাথ’-এর সদস্যরা তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত: নাইট গ্র্যান্ড ক্রস বা ডেম গ্র্যান্ড ক্রস, নাইট কমান্ডার বা ডেম কমান্ডার এবং কমপ্যানিয়ন।

উল্লেখ্য, নারীদের এই ‘অর্ডার’-এ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৭১ সালে।

প্রিন্সেস অ্যালিস, গ্লুচেস্টারের ডাচেস এবং আধুনিক যুগের কর্মরত রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স রিচার্ডের মা, প্রথম ডেম গ্র্যান্ড ক্রস হন।

রাজা চার্লস এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের মে মাসে ‘অর্ডার অফ দ্য বাথ’-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, তখন তিনি প্রিন্স অফ ওয়েলস ছিলেন।

ঐতিহ্যগতভাবে, প্রিন্স অফ ওয়েলস ‘অর্ডার অফ দ্য বাথ’-এর গ্রেট মাস্টার হিসেবে প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অন্যদিকে, রাজা প্রতি আট বছর অন্তর এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

১৯৭৫ সালে যখন রাজা চার্লসের বয়স ছিল ২৬ বছর, তখন তিনি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে গ্রেট মাস্টার হিসেবে অভিষিক্ত হন।

প্রিন্স উইলিয়ামও তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই দায়িত্ব পালন করছেন।

রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর, রাজা ও প্রিন্স উইলিয়ামের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

জানা যায়, ভবিষ্যতের দেশ ও তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা তাদের মধ্যেকার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে।

২০২৪ সালটা রাজ পরিবারের জন্য বেশ কঠিন ছিল।

ফেব্রুয়ারিতে রাজা চার্লস এবং মার্চে প্রিন্সেস কেটের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে।

এই কঠিন সময়েও তারা দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগতভাবে এই বছরটিকে ‘কঠিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *