কানাডায় কিং চার্লসের ভাষণে নতুন বার্তা! চমকে দিলেন রাজা?

কানাডার পার্লামেন্টে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের দেওয়া বিরল ভাষণে দেশটির সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেওয়া এই ভাষণে তিনি বর্তমান বিশ্বের অস্থির পরিস্থিতি ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন।

এই ভাষণটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাজা চার্লস সিংহাসনে আরোহণের পর এই প্রথম কানাডায় কোনো ভাষণ দিলেন।

ভাষণে রাজা চার্লস বিশ্ব পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের চেয়েও ‘অধিক বিপজ্জনক ও অনিশ্চিত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, কানাডা বর্তমানে নজিরবিহীন কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

ভাষণে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ওপর।

ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির একটি পরোক্ষ উল্লেখ ছিল। ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ দেখা যায়।

ভাষণে কানাডার সরকার গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, আইনের শাসন, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলোকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে কানাডার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা এবং ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথাও উল্লেখ করা হয়, যা দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সহায়ক হবে।

ঐতিহাসিক এই ভাষণে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়েও কথা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

তবে রাজা চার্লস দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন, যা উভয় দেশের জন্য উপকারী হবে।

ভাষণে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে মাদক পাচার, বিশেষ করে ফেন্টানিল (fentanyl) নামক মাদক প্রতিরোধের ওপর জোর দেওয়া হয়।

উল্লেখ্যে, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও, ভাষণে অভিবাসন, আবাসন সংকট, অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধি, এবং জ্বালানি প্রকল্পের দ্রুত উন্নয়নের মতো বিষয়গুলোও স্থান পায়।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *