ট্রাম্পকে বশে আনতে ব্রিটেনের ‘টিয়ারা কূটনীতি’: দ্বিতীয় সফরে চমক!

যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় সরকারি সফরে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, আয়োজনে বাদশাহ চার্লস।

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয় সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ তৃতীয় চার্লস। এই সফরটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

উইনসর ক্যাসেলে এখন সাজ সাজ রব। প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো এই দুর্গে ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। রাজকীয় আড়ম্বরতা ও জাঁকজমকের সঙ্গে ব্রিটেনের ঐতিহ্যপূর্ণ আতিথেয়তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে।

সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি থেকে শুরু করে সামরিক কুচকাওয়াজ—সবকিছুই প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা ব্রিটেনের রাজকীয় ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো— এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা, যখন “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। ব্রিটেনের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে, যাতে তারা বাণিজ্য সুবিধা লাভ করতে পারে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায় করতে পারে।

ঐতিহাসিক এই সফরের অংশ হিসেবে উইনসর ক্যাসেলে আয়োজন করা হবে এক বিশেষ ভোজের। সেখানে পুরনো দিনের ঐতিহ্য মেনে পরিবেশন করা হবে দু’শো বছরের পুরনো রুপোর বাসন।

বাদশাহ এবং কুইন ক্যামিলার সঙ্গে ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। এরপর সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের গার্ড অব অনার দেবেন।

অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক সম্পর্ক তুলে ধরতে বিভিন্ন দলিল ও শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ঐতিহাসিক ‘ম্যাগনা কার্টা’, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান আইনি ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ও আতিথেয়তা উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সহায়ক হবে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেইর স্টারমারও এই সফরের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি আশা করছেন, এই আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট সমাধানেও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

সফরের দ্বিতীয় দিনে, ট্রাম্প এবং স্টারমারের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *