**সাক্রামেন্টো কিংসের জেনারেল ম্যানেজার মন্ট ম্যাকনেয়ারের বিদায়**
যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল লিগ, এনবিএ-এর অন্যতম পরিচিত দল সাক্রামেন্টো কিংস। সম্প্রতি দলটির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মন্ট ম্যাকনেয়ারের সঙ্গে তাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে।
প্লে-ইন টুর্নামেন্টে ডালাস ম্যাভেরিকসের কাছে পরাজিত হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২০-২১ মৌসুমে ম্যাকনেয়ার কিংসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে দলটি দীর্ঘ ১৬ বছরের প্লে-অফ খরা কাটিয়ে ওঠে।
সেই বছর দলটি ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে তৃতীয় স্থান অর্জন করে এবং ম্যাকনেয়ারকে ‘এনবিএ এক্সিকিউটিভ অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করা হয়।
বাস্কেটবল বিশ্বে এই সম্মাননা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, ২০২৩ সালের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি কিংস। এমনকি তারা প্লে-অফেও কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়।
গত দুটি মৌসুমে প্লে-ইন টুর্নামেন্টেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। দলের পারফরম্যান্সেও দেখা যায় অবনতি।
ম্যাকনেয়ারের অধীনে, কিংস দল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, ইন্ডিয়ানা থেকে ডোমন্তাস সাবোনিসকে দলে আনা এবং টাইরিস হ্যালিবার্টনের বদলি হিসেবে তাকে খেলানো।
এছাড়াও মালিক ম্যালিক মঙ্ককে তারা দলে ভেড়ায়। এছাড়া, তারকা খেলোয়াড় ডি’অ্যারন ফক্সকে সান আন্তোনিওতে পাঠানো এবং বিনিময়ে জ্যাখ লাভিনকে দলে নেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডও ছিল তার সময়ে।
ম্যাকনেয়ারের মেয়াদে কিংসের জয়ের হার ছিল ১৯৫-২০৫।
বিদায়ের আগে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ডগ ক্রিস্টির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নিয়মিত মৌসুমে তিনি দলের হয়ে ২৭টি ম্যাচ জেতেন এবং ২৪টিতে পরাজিত হন।
সাক্রামেন্টো কিংসের মালিক বিবেক রানাদিভে ২০১৩ সালে দলের মালিকানা গ্রহণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচজন জিএম-এর অধীনে কাজ করেছে এবং নয়জন কোচের পরিবর্তন হয়েছে।
এই সময়ে দলের পারফরম্যান্স খুব একটা উল্লেখযোগ্য ছিল না। এনবিএ-তে দলটির রেকর্ডও খুব একটা ভালো নয়।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)