উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রী তার বন্ধুর থেকে ঈর্ষান্বিত, কারণ তার বন্ধু আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে ভালো স্কলারশিপ পেয়েছে। সম্প্রতি, বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
বন্ধুদের মধ্যেকার এই মনোমালিন্যের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কিশোরী, যে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী, তার কলেজ স্কলারশিপ নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে হওয়া মনোমালিন্যের কথা তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি, তিনি রেডডিটের AITA (Am I The A**hole) কমিউনিটিতে তার এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজেদের অনুভূতির বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে থাকেন।
মেয়েটি জানায়, তার বন্ধু, যিনি আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের সদস্য, তিনি বিভিন্ন স্কলারশিপ ও অনুদান পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে, তিনি খুব ভালো ফল করা সত্ত্বেও সেভাবে স্কলারশিপ পাচ্ছিলেন না।
মেয়েটি আরও জানায়, তিনি যখন জানতে পারেন যে তিনি ৩,০০০ ডলারের (বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার বেশি) একটি স্কলারশিপ পেয়েছেন, তখন তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। তিনি তার বন্ধুকে বিষয়টি জানালে, বন্ধুটি তাকে অভিনন্দন জানানোর পরিবর্তে জানায়, “এটা খারাপ না, আমার তো কলেজ ফি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই, উল্টো আমি টিউশন ফি বাবদ কিছু টাকা ফেরত পাই।
এই মন্তব্যে মেয়েটি কিছুটা অবাক হয়ে যায়।
তিনি জানান, বন্ধুর এই কথায় তিনি একটু আহত হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, “আমি অবশ্যই খুশি যে তার কলেজের খরচ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না।
অতীতেও আমি তাকে অনেকবার এই কথা বলেছি। তবে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে কথাটা বলার সঠিক সময় ছিল না।
মেয়েটি তার বন্ধুকে উত্তরে জানায়, “ওহ, ভালো।
এরপর, যখন তারা একসাথে আরেকটি স্কলারশিপের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিল, মেয়েটি জানায়, তিনি জানতেন যে সম্ভবত তিনি স্কলারশিপটি পাবেন না, কারণ এটি মূলত আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল ছিল।
অবশেষে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তখন দেখা যায় মেয়েটি স্কলারশিপটি পায়নি, কিন্তু তার বন্ধু সেটি পেয়েছে। সেই মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, “অভিনন্দন! আমার খুব ঈর্ষা হচ্ছে।
মেয়েটি আরও জানায়, “আমি তার আর্থিক অবস্থার জন্য ঈর্ষান্বিত নই, তবে অবশ্যই তার পাওয়া আর্থিক সাহায্য নিয়ে ঈর্ষা অনুভব করছি।”
ঘটনার পরে, তার বন্ধু জানায় যে সে মনে করে মেয়েটি তার দরিদ্রতার জন্য তার উপর রাগ করেছে। এই ধারণায় মেয়েটি আরও বেশি হতাশ হয়।
বিষয়টি নিয়ে রেডডিটের অন্যান্য ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে, “তোমার স্বর এবং মুখের অভিব্যক্তি দেখে মনে হয়নি তুমি খুশি হয়েছো, তাই আমি বুঝি কেন সে ভুল বুঝেছে।
স্কলারশিপের একটি শর্ত ছিল দরিদ্র হওয়া, তাই এমনটা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।”
আরেকজন মন্তব্য করেন, “গরীব হওয়ার কারণে কেউ স্কলারশিপ পেলে তার প্রতি ঈর্ষা করাটা সত্যিই ভিত্তিহীন।”
অন্য একজন ব্যবহারকারী, যিনি সম্ভবত একই ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, তিনি বলেন, “আমি তোমার কষ্ট অনুভব করতে পারছি।
এটা দেখা কঠিন, বিশেষ করে যখন এটি প্রয়োজন-ভিত্তিক এবং তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আমি তোমাকে কিছুক্ষণের জন্য শান্ত থাকার এবং নিজের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেব।”
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, অনেকেই মনে করেন, মেয়েটির প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল।
তাদের মতে, মানুষ সাধারণত নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বিচার করে থাকে।
বন্ধুদের মধ্যেকার এই আলোচনা বর্তমানে অনলাইনে বেশ সাড়া ফেলেছে.
তথ্য সূত্র: People