এমপি হত্যার হুমকি: ‘কিনেক্যাপ’-এর ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, তদন্তে পুলিশ!

শিরোনাম: যুক্তরাজ্যের র‍্যাপ ব্যান্ড নিয়ে বিতর্ক: রাজনীতিবিদদের হত্যা এবং জঙ্গি সংগঠনের প্রতি সমর্থন?

যুক্তরাজ্যের একটি আইরিশ র‍্যাপ ব্যান্ড, যাদের নাম ‘নি-ক্যাপ’, তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু ভিডিও ফুটেজে তাদের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদদের হত্যার হুমকি এবং হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রতি সমর্থন জানানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওগুলোতে শোনা যায়, ব্যান্ডের সদস্যরা ২০২৩ সালের একটি কনসার্টে ‘একমাত্র ভালো টোরি হলো মৃত টোরি, তোমাদের এলাকার এমপিকে হত্যা করো’ – এমন কথা বলছেন। এছাড়া, অন্য একটি ভিডিওতে তাদের ‘আপ হামাস, আপ হিজবুল্লাহ’ বলতে শোনা যায়। উল্লেখ্য, হামাস ও হিজবুল্লাহকে যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ।

এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেক রাজনীতিবিদ এই ব্যান্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং তাদের কনসার্ট বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের বিরোধী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তাদের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, এই ধরনের বক্তব্য এমপিদের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তারা প্রয়াত এমপি জো কক্স এবং ডেভিড এমিসের হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনেছেন।

তবে, নি-ক্যাপের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অনেক শিল্পী। তারা এক যৌথ বিবৃতিতে ব্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং একে ‘শিল্প স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার নেই সঙ্গীত উৎসবে কারা পারফর্ম করবে, তা নির্ধারণ করার। এই বিতর্কে পাল্প, পল ওয়েলার, প্রিমাল স্ক্রিম-এর মতো খ্যাতিমান শিল্পীরাও কণ্ঠ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, নি-ক্যাপ বিতর্কিত মন্তব্যগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা প্রয়াত এমপি ডেভিড এমিসের পরিবার এবং জো কক্সের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। তবে, নিহত এমপিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের এই ক্ষমা প্রার্থনায় সন্তুষ্ট নন। তাদের মতে, ক্ষমা চাওয়ার ধরনে আন্তরিকতার অভাব ছিল।

যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা ভিডিও ফুটেজগুলো খতিয়ে দেখছে এবং সম্ভাব্য অপরাধের প্রমাণ খুঁজছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টির গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *