আলো ঝলমলে জগৎ, ভয়ানক বিপদ! ‘দ্য নাইট অ্যান্ড দ্য মথ’ বইটির আকর্ষণীয় অংশ!

রহস্য আর অশুভ শক্তির আভাস নিয়ে র‍্যাচেল গিলিগের নতুন উপন্যাস ‘দ্য নাইট অ্যান্ড দ্য মথ’।

ফ্যান্টাসি জগৎ-এ র‍্যাচেল গিলিগের পরিচিতি এখন বেশ তুঙ্গে। তাঁর লেখালেখির জাদুতেই মুগ্ধ সকলে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘ওয়ান ডার্ক উইন্ডো’ উপন্যাসটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

নিউইয়র্ক টাইমস-এর বেস্ট সেলারের তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছিল বইটি। এবার তিনি আসছেন তাঁর নতুন উপন্যাস ‘দ্য নাইট অ্যান্ড দ্য মথ’ নিয়ে, যা ইতিমধ্যেই পাঠকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

গল্পটি আবর্তিত হয়েছে এক তরুণ ভবিষ্যদ্বক্তা, যিনি এক অসম্ভব মিশনে যাত্রা করেন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা হয় এক রহস্যময় নাইট-এর।

উপন্যাসটিতে প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে ‘সিবিল ডেলিং’-কে। তিনি একজন ডিভাইনার, অর্থাৎ যিনি ভবিষ্যতের আভাস পান।

গল্পের শুরুতে, সিবিলকে একটি ক্যাথেড্রালে (cathedral) দশ বছর কাজ করতে হয়। এই সময়ে তিনি ওমেন নামক ছয়টি অলৌকিক সত্তা থেকে পাওয়া আভাস ব্যবহার করে বিপদ সম্পর্কে জানতে পারেন।

কিন্তু যখন সিবিলের কাজ প্রায় শেষের দিকে, তখনই এক রহস্যময় নাইট রডেরিক-এর আগমন ঘটে। রডেরিক সিবিলের পাওয়া আভাসকে গুরুত্ব দেন না।

কিন্তু যখন সিবিলের সঙ্গীরা একে একে অদৃশ্য হতে শুরু করে, তখন তাদের সাহায্য নিতে হয়।

গল্পের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে ‘ট্রাম’ নামক এক রহস্যময় জগতে। এখানকার ‘অ্যািসলিং ক্যাথেড্রাল’-এ ডিভাইনেশন (divination) বা ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি বিশেষ রীতি প্রচলিত আছে।

ডিভাইনেশন-এর সময়, সিবিলকে একটি পবিত্র ঝর্ণায় নামতে হয়। ঝর্ণার চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গার্গয়ল (gargoyle) নামক পাথরের মূর্তিগুলো যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে।

এরপর রাজা বেনেডিক্ট ক্যাসটরের আগমন ঘটে, যিনি ডিভাইনেশন-এর জন্য প্রস্তুতি নেন। রাজার হাতে একটি ছুরি দেখা যায়, যা গল্পের রহস্য আরও বাড়িয়ে তোলে।

উপন্যাসটির মূল আকর্ষণ হলো এর গাঢ় এবং রহস্যময় পরিবেশ। লেখক গল্পের প্রতিটি দৃশ্যে তৈরি করেছেন এক বিশেষ আবহ, যা পাঠকদের কল্পনার জগৎকে নাড়া দেয়।

লেখক র‍্যাচেল গিলিগ তাঁর লেখায় তৈরি করেছেন এমন এক জগৎ, যেখানে ভবিষ্যৎ জানার ক্ষমতা, ভয়ের অনুভূতি এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার ঘনঘটা পাঠককে গল্পের গভীরে নিয়ে যায়।

উপন্যাসটি সম্ভবত এই বছর-এর শেষের দিকে প্রকাশিত হবে। র‍্যাচেল গিলিগের অন্যান্য কাজের মতো, এই উপন্যাসটিও পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করা যায়।

যারা ফ্যান্টাসি গল্প ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য ‘দ্য নাইট অ্যান্ড দ্য মথ’ হতে পারে একটি দারুণ উপভোগ্য অভিজ্ঞতা।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *