কো লান্তা: থাইল্যান্ডের এক লুকানো স্বর্গরাজ্য, যেখানে শান্ত সমুদ্র সৈকত আর সংস্কৃতির ছোঁয়া।
দক্ষিণ থাইল্যান্ডের আন্দামান সাগরে অবস্থিত কো লান্তা দ্বীপটি যেন এখনো অনেকের কাছেই অজানা এক রত্ন। কোলাহলমুক্ত সৈকত, বিলাসবহুল হোটেল আর স্থানীয় সংস্কৃতির এক দারুণ মিশ্রণ এই দ্বীপটিকে করে তুলেছে বিশেষ।
যারা সাধারণ কোলাহল থেকে দূরে, প্রকৃতির কাছাকাছি কিছু দিন কাটাতে চান, তাদের জন্য কো লান্তা হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
বর্তমানে, কো লান্তা আমেরিকান পর্যটকদের কাছে খুব একটা পরিচিত না হলেও, ইউরোপীয়, বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পর্যটকদের আনাগোনা এখানে বেশ ভালোই দেখা যায়। নভেম্বরের শুরু থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানকার আবহাওয়া ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
এখানে রয়েছে পিমলাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা-এর মতো চমৎকার কিছু বিলাসবহুল হোটেল, যা কো লান্তার অন্যতম আকর্ষণ। এখানকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত, আর নিরিবিলি পরিবেশে ছুটি কাটানোর সুযোগ পর্যটকদের মন জয় করে।
এই রিসোর্টগুলি তাদের অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
কো লান্তা-র স্থানীয় সংস্কৃতিও বেশ আকর্ষণীয়। এখানকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম, যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতিতে ভিন্নতা যোগ করেছে।
পুরাতন শহর বা ওল্ড টাউন-এ গেলে এখানকার আদিবাসী মকেন সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা দেখা যায়। এখানকার স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে তাজা সি-ফুডের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে, যা পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
যারা জল ভালোবাসেন, তাদের জন্য কো লান্তা একটি অসাধারণ জায়গা। এখানকার স্বচ্ছ নীল জলে ডুব দিলে দেখা মেলে নানা ধরনের সামুদ্রিক জীবের, যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
কো হানা এবং কো রাক-এর মতো স্থানগুলিতে স্কুবা ডাইভিং এবং স্নোরকেলিংয়ের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে বসবাসকারী বাঁদরদের কার্যকলাপও পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
ভ্রমণের সুবিধার জন্য এখানে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে, যা কো লান্তাকে মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করবে। এর ফলে, ক্রাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এখানে আসা আরও সহজ হবে।
যদি আপনি থাইল্যান্ডে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে কো লান্তা আপনার জন্য একটি চমৎকার গন্তব্য হতে পারে। এখানে একদিকে যেমন প্রকৃতির শান্তি উপভোগ করা যায়, তেমনই স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হওয়ারও সুযোগ রয়েছে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার