মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল বিশ্বে এখন একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের উদয় হয়েছে। তিনি হলেন কন নুপেল। খুব শীঘ্রই সম্ভবত ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)-এর ড্রাফটে তাঁর নাম উঠবে।
কন-এর উত্থান শুধু তাঁর একার সাফল্যের গল্প নয়, বরং একটি পরিবারের স্বপ্ন আর ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। উইসকনসিনের মিলওয়াকি শহরে বেড়ে ওঠা কন-এর পরিবারের গল্প নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।
কন নুপেল-এর জন্ম একটি ক্রীড়ামোদী পরিবারে। তাঁর বাবা-মা দুজনেই ছিলেন কলেজ পর্যায়ের অ্যাথলেট। কন-এর চার ভাই রয়েছে: ক্যেইজার, কিনস্টন, ক্যাশ এবং কিড।
ভাইয়েরা সবাই বাস্কেটবল ভালোবাসে এবং খেলে। কন-এর পরিবার সব সময়ই তাঁর পাশে থেকেছে। খেলা চলাকালীন সময়ে তাঁরা মিলওয়াকি থেকে নর্থ ক্যারোলাইনার ডারহামে আসতেন, যাতে কন-কে সমর্থন যোগানো যায়।
তাঁদের এই ভালোবাসাই যেন কন-এর সাফল্যের মূল মন্ত্র।
কন-এর বাবা-মা, কোণ নুপেল সিনিয়র এবং চারি নুপেল, তাঁদের সন্তানদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করেছেন সবসময়।
এমনকি, বাড়ির আশেপাশে বাস্কেটবল খেলার জন্য ছয়টি বাস্কেটবল হুপ তৈরি করা হয়েছে। কন-এর বাবা একসময় উইসকনসিন লুথেরান কলেজের বাস্কেটবল টিমের হয়ে খেলেছিলেন।
অন্যদিকে, মা চারি ছিলেন উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন বে অ্যাথলেটিক্স মহিলা বাস্কেটবল দলের সর্বকালের সেরা স্কোরার।
কন এবং তাঁর ভাইদের বেড়ে ওঠা মিলওয়াকিতেই। কন এবং কেইজার উইসকনসিন লুথেরান হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। সম্প্রতি, পুরো পরিবার মিলে মিলওয়াকি ব্রুয়ার্স-এর একটি বেসবল খেলায় প্রথম পিচ করেন এবং নিজেদের শহরের দলের প্রতি সমর্থন জানান।
বেসবল খেলাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয়। এই খেলায় একজন খেলোয়াড় মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বল ছুড়ে এবং অন্য দলের খেলোয়াড়েরা সেই বল ব্যাটের সাহায্যে মারার চেষ্টা করে।
নুপেল পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান কেইজার-ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বর্তমানে প্রায় ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং উইসকনসিন লুথেরান হাই স্কুলে খেলেন।
শোনা যাচ্ছে, কেইজার-এর খেলা দেখে অনেক বাস্কেটবল দল আগ্রহ দেখাচ্ছে। কেইজার-কে ইউনিভার্সিটি অফ টলেডো-র বাস্কেটবল টিমে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমনকী, ডিউক ব্লু ডেভিলস-এর প্রধান কোচ জন স্কেয়ারও কেইজার-এর খেলা দেখতে এসেছিলেন।
কন এবং তাঁর ভাইয়েরা সবাই একসময় একসঙ্গে হাই স্কুল এবং মিডল স্কুলে বাস্কেটবল খেলেছেন। নুপেল পরিবারের পুরুষদের মধ্যে বাস্কেটবল খেলার একটি ঐতিহ্য রয়েছে।
কন-এর বাবা এবং তাঁর কাকা-রা একসময় ‘ফ্লাইং নুপেল ব্রাদার্স’ নামে একটি দলে একসঙ্গে থ্রি-অন-থ্রি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে হয়তো বাস্কেটবল কোর্টে একাধিক নুপেল ভাইকে একসঙ্গে খেলতে দেখা যেতে পারে।
একটি পরিবারের ভালোবাসার ছোঁয়া, কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই একজন খেলোয়াড় সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারে। কন নুপেল এবং তাঁর পরিবারের গল্প যেন সেটাই প্রমাণ করে।
তথ্য সূত্র: পিপল