ক্রিস্টিন ক্যাভলারি এবং ক্রেইগ কনভারের মধ্যকার সংক্ষিপ্ত প্রেম সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন তারা। প্রায় চার বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ক্যাভলারি জানান, কিভাবে তাদের সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল। সেই সময়ে মিডিয়ার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
২০২১ সালে জাস্টিন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে চার্লসটনে যান ক্রিস্টিন। সেখানে ক্রেইগের সঙ্গে তার কয়েকবার দেখা হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। মিডিয়া তখন জানতে চেয়েছিল, ক্রিস্টিন ক্যাভলারি ক্রেইগ কনভারের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন নাকি অস্টেন ক্রলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সেই সময় বেশ বিরক্ত ছিলেন ক্রিস্টিন।
ক্রিস্টিন আরও জানান, যখন ক্রেইগ ‘সামার হাউজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তখন যেন তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ক্রেইগের তৎকালীন বান্ধবী পেইজও ক্যামেরার সামনে তাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন। এই ঘটনাগুলো তাকে বেশ হতাশ করেছিল।
এই ঘটনার পর ক্রিস্টিন উপলব্ধি করেন, একজন মা হিসেবে পরিবারের সম্মান রক্ষা করা তার দায়িত্ব। তিনি বলেন, “মা হওয়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি, এখন শুধু নিজের দিকে তাকালে চলবে না। আমার পরিবারের সম্মানও আমাকে রক্ষা করতে হবে।”
তাদের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ার আগ্রহ এবং আলোচনার মধ্যে ক্রিস্টিন কিছুটা পিছিয়ে আসেন। তিনি মনে করেন, এই ঘটনা তার জন্য একটি শিক্ষা ছিল।
অন্যদিকে, ক্রেইগ কনভার এবং পেইজ ডি’সোরবোর সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়। ক্রিস্টিন জানান, তিনি সবসময় ধারণা করতেন, ক্রেইগ এবং পেইজের মধ্যে সম্পর্ক থাকার সময় তাদের মধ্যে কিছুটা ‘ওভারল্যাপ’ ছিল। যদিও ক্রেইগ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
ক্রিস্টিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে ক্রেইগ বলেন, “আমি সবসময় একজন সৎ মানুষ ছিলাম, আমি কখনোই তোমার সঙ্গে মিথ্যা বলিনি।”
ক্রিস্টিন জানান, যখন তিনি পেইজের সঙ্গে ক্রেইগের সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন তিনি এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
কয়েক দিন আগে ‘ওয়াচ হোয়াট হ্যাপেনস লাইভ’ অনুষ্ঠানে ক্রিস্টিন তার এবং ক্রেইগের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “ক্রেইগ এবং আমি প্রথমে বন্ধু ছিলাম। এরপর আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, যা বেশি দিন টেকেনি।”
তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো ‘ওভারল্যাপ’ ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি নিউইয়র্কে ক্রেইগ এবং পেইজের একটি ছবি দেখেছিলাম। ছবিতে তাদের একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল। তখনই প্রথম তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারি। ছবিটি দেখার পর আমি ক্রেইগকে টেক্সট করে জানিয়েছিলাম, চলো আমরা বন্ধু হিসেবেই থাকি। আমি এই ঝামেলার মধ্যে জড়াতে চাই না।”
তথ্য সূত্র: পিপল