যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সুপারমার্কেট চেইন, ক্রোগার, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে তাদের ৬০টি দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে কোম্পানিটি এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এবং এর ফলে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্রোগারের মোট দোকানের প্রায় ৫ শতাংশ বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রোগারের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিক্রি সামান্য কমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে তাদের আয় ছিল ৪৫.৩ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫.১ বিলিয়ন ডলারে।
তবে, ফার্মেসি বিভাগ থেকে তাদের আয় বেড়েছে, যদিও মুনাফার পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। কোম্পানিটি তাদের ই-কমার্স এবং তাজা খাদ্য পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে চাইছে এবং ভবিষ্যতে এই দুটি খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
কোম্পানি সূত্রে খবর, দোকান বন্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের অন্য দোকানে পুনর্বাসন করা হবে। ক্রোগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা গ্রাহক অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে এই অর্থ বিনিয়োগ করবে।
তবে, ঠিক কিভাবে এই বিনিয়োগ করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এই ঘোষণার কয়েক মাস আগে, ক্রোগারের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রডনি ম্যাকমুলেন পদত্যাগ করেন। অভ্যন্তরীণ তদন্তে তার ব্যক্তিগত আচরণ কোম্পানির নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না বলে জানা যায়।
এরপর রোনাল্ড সারজেন্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি রাজ্যে ক্রোগারের দোকান রয়েছে, যার মধ্যে ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, টেক্সাস, টেনিসি, মিশিগান, জর্জিয়া এবং ওহাইও-তে তাদের বেশি দোকান রয়েছে। দোকান বন্ধের এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, কোম্পানি তাদের কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ক্রোগারকে আরও বেশি লাভজনক হতে সাহায্য করবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রোগার তাদের গ্রাহকদের জন্য উন্নত পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা ই-কমার্স এবং তাজা পণ্যের ওপর জোর দিয়ে ব্যবসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে।
এই পদক্ষেপ তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে বলে কোম্পানি আশা করছে।
তথ্য সূত্র: পিপল