ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার বিমান হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (আজ) শহরের দারনিটস্কি এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎস্কো জানিয়েছেন, হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন এবং কিছু আবাসিক এলাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, গত শুক্রবার ক্রিভি রিহ শহরে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার ভিলকুল জানিয়েছেন, হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
আহত হয়েছেন আরও ৭৫ জন। নিহতদের স্মরণে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক চাপ যথেষ্ট না হওয়ার ফল। তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে ১,৪৬০টির বেশি গাইডেড এয়ার বোমা, ৬৭০টির মতো অ্যাটাক ড্রোন এবং ৩০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারসনে রবিবার সকালে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার রাতে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০৯টি ড্রোন (স্ট্রাইক ও ডিকয়) নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪০টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এছাড়া ৫৩টি ডিকয় ড্রোনকে অকার্যকর করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা চললেও, ক্রেমলিন কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, “সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি শুধু অবাধ নৌ চলাচল এবং খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এর চেয়েও বড় বিষয় হল নিরাপত্তা।”
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার দাবি করেছে, তারা ক্রিভি রিহে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেখানে ইউক্রেনীয় সেনা কমান্ডার ও পশ্চিমা প্রশিক্ষকদের একটি বৈঠক চলছিল।
তাদের দাবি, হামলায় ৮৫ জন সামরিক কর্মী এবং বিদেশি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস