কিয়েভে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৪ জন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫০ জনের বেশি।
মঙ্গলবার ভোরে হওয়া এই হামলায় আবাসিক ভবনসহ শহরের বিভিন্ন অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিস্টকো জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ৪০ জনের বেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করছি ধ্বংসস্তূপের নিচে আর কোনো মৃতদেহ পাওয়া যাবে না, তবে সেই সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার রাতের হামলা সম্পর্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া ৪৪০টির বেশি ড্রোন এবং ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কিয়েভের বিভিন্ন জেলার ২৭টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর হাতে আসা ছবিতে দেখা গেছে, বহু-তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোর কিছু অংশ একেবারে ধসে পড়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
হামলার সময় একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে ৬২ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে মেয়র ক্লিস্টকো জানিয়েছেন।
তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
অন্যদিকে, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সের্গেই শোইগু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ দূত হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস-এর বরাত দিয়ে জানা যায়, সেখানে তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অত্যাধুনিক মহাকাশ ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ভাগ করে নিতে পারে।
হামলার এই সময়ে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে দ্রুত দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর ফলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন