লস অ্যাঞ্জেলেসে, বিশেষ করে লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এলএএক্স) যাতায়াতের ভোগান্তি কমাতে সম্প্রতি একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরটিতে একটি নতুন মেট্রো ট্রানজিট সেন্টার চালু করা হয়েছে, যা বিমানবন্দরের সাথে শহরের অন্যান্য এলাকার সংযোগ স্থাপন করবে।
এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের শহরগুলোতে যানজট নিরসনে কিভাবে সাহায্য করতে পারে, সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
ঢাকার মতো মেগাসিটিগুলোতে যানজট একটি পরিচিত সমস্যা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান। লস অ্যাঞ্জেলেসের কর্তৃপক্ষ এই সমস্যা সমাধানে এলএএক্স মেট্রো ট্রানজিট সেন্টার তৈরি করেছে।
এটি বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত এবং মেট্রো ও বাসের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে। এর ফলে, বিমানবন্দরের যাত্রী ও কর্মীদের জন্য শহরে প্রবেশ এবং বের হওয়া অনেক সহজ হবে।
নতুন এই ট্রানজিট সেন্টারটি মেট্রোর দুটি লাইনের সাথে যুক্ত: সি লাইন এবং কে লাইন।
সি লাইনটি এলএ-এর ওয়েস্ট সাইড থেকে পূর্বে, এল সেগুন্দো (যেখানে এলএএক্স অবস্থিত) থেকে ডাউনি পর্যন্ত বিস্তৃত। অন্যদিকে, কে লাইন উত্তর থেকে দক্ষিণে জেফারসন পার্ক এলাকা থেকে রেডোন্ডো বিচ পর্যন্ত চলাচল করে।
এছাড়াও, এই সেন্টারে ১৪টি ভিন্ন বাস রুটের সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সান্তা মনিকার বিগ ব্লু বাস, কালভার সিটি বাস এবং গার্ডেনার জিট্রান্স সিস্টেম।
বর্তমানে, ট্রানজিট সেন্টার থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য নিয়মিত শাটল বাস পরিষেবা চালু আছে।
২০২৬ সাল নাগাদ এখানে একটি স্বয়ংক্রিয় যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা (Automated People Mover – APM) চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা সরাসরি বিমানবন্দরের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে।
এখন, প্রতি ১০ মিনিট অন্তর শাটল বাসগুলো ট্রানজিট সেন্টার থেকে বিমানবন্দরের টার্মিনালগুলোতে যাত্রী আনা নেওয়া করছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর।
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ, ২০২৭ সালের সুপার বোল এবং ২০২৮ সালের অলিম্পিকের মতো বড় ইভেন্টগুলোর কারণে ভবিষ্যতে এখানে যাত্রী চাপ আরও বাড়বে।
এই পরিস্থিতিতে, নতুন মেট্রো সেন্টারটি বিমানবন্দরের আশেপাশে গাড়ির চাপ কমাতে সহায়তা করবে।
ঢাকার মেট্রোরেলের মতো গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে লস অ্যাঞ্জেলেসের এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হতে পারে।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা শহরের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলে এবং যানজট কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের এই পদক্ষেপ, বাংলাদেশের শহরগুলোতেও অনুরূপ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে উৎসাহিত করতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার