অবশেষে লানিয়া: পৃথিবীর বুকে কি তবে শান্তির আবহাওয়া?

আর কয়েক মাস পরই বর্ষা শুরু হতে চলেছে, আর এই সময়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব জরুরি।

সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরে ‘লা নিনা’ নামক একটি শীতল জলপ্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদ্যা অনুযায়ী, এর প্রভাবে পৃথিবীর জলবায়ু এখন একটি নিরপেক্ষ অবস্থায় রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আগামী বছর জুড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)।

আসলে, ‘লা নিনা’ হল এল নিনোর বিপরীত অবস্থা। এল নিনো একটি উষ্ণ জলপ্রবাহ, যা মাঝে মাঝে প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশে দেখা যায়।

এর প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুতে পরিবর্তন আসে। লা নিনার কারণে সাধারণত আটলান্টিক মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়ে, আর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলে দেখা দেয় শুষ্ক আবহাওয়া।

এছাড়া, ইন্দোনেশিয়া, উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এর প্রভাব পড়ে, কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যায়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই ‘লা নিনা’ মাত্র তিন মাস স্থায়ী ছিল। এর আগে, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটানা তিন বছর ধরে ‘লা নিনা’র প্রভাব ছিল।

তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, সাধারণত ‘এল নিনো’ বা নিরপেক্ষ অবস্থার চেয়ে ‘লা নিনা’র কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।

তবে, এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপর সরাসরি কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা এখনই দেখা যাচ্ছে না।

কারণ, এই মুহূর্তে পৃথিবীর জলবায়ু নিরপেক্ষ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত, এল নিনো বা লা নিনার প্রভাব বাংলাদেশের বর্ষাকালে কিছুটা অনুভূত হয়।

এই সময়ে, কোনো কোনো বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, আবার কোনো বছর কম।

তবে, বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে বাংলাদেশের আবহাওয়ার ওপর এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রভাব এখনই বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়ার এই পরিবর্তনগুলি বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে। তাই, এইসব বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকাটা জরুরি।

তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *