যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে দুটি বিমানের মধ্যে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। নিউ ইয়র্কের লাগোয়ার্ডিয়া বিমানবন্দরে গত ৬ই মে ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকান ঈগল ফ্লাইট ৪৭৩৬, যা রিপাবলিক এয়ারওয়েজ পরিচালনা করে, টেক অফ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৬৫৭ একই রানওয়েতে ট্যাক্সি করছিল।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকান ঈগল ফ্লাইটটিকে টেক অফের অনুমতি বাতিল করেন, যার ফলে বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি হিউস্টনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল বিমানবন্দর থেকে আসছিল এবং এতে ১০৭ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু সদস্য ছিলেন।
শুধু এই ঘটনাই নয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল ব্যবস্থায় বেশ কিছু ত্রুটি দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্যাসিলিটিতে রেডিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই রেডিও সংযোগ প্রায় দুই সেকেন্ডের জন্য বিচ্ছিন্ন ছিল।
এই ধরনের ঘটনাগুলো গ্রীষ্মের ছুটির মৌসুমের প্রাক্কালে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও বিমানযাত্রা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, তবুও এ ধরনের ঘটনাগুলো বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে।
বিশেষ করে, যখন বিমানবন্দরের ব্যস্ততা বাড়ে, তখন সামান্য ভুলের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও, যেখানে আকাশপথে যাত্রী ও বিমানের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, সেখানে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
বিমানবন্দরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতেও বিমান চলাচল ব্যবস্থা নিরাপদ রয়েছে।
তবে, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এফএএ এবং এনটিএসবি’র এই তদন্তের ফলাফল এবং ভবিষ্যতে তারা কি ধরনের পদক্ষেপ নেয় সেদিকে সবাই এখন তাকিয়ে আছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন