লেকার্স: বিশাল অঙ্কে মালিকানা বদল! কেঁপে উঠলো বাস্কেটবল বিশ্ব!

লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্স, বিশ্বজুড়ে বাস্কেটবল প্রেমীদের একটি পরিচিত নাম। এবার এই বিখ্যাত দলটির মালিকানা পরিবর্তনের পথে।

জানা গেছে, বাস্কেটবল দলটির সিংহভাগ মালিকানা বিক্রি করতে প্রস্তুত বুস পরিবার। প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে লস অ্যাঞ্জেলেস ডজর্স-এর মালিক মার্ক ওয়াল্টার এই চুক্তিটি করতে যাচ্ছেন।

খেলাধুলার জগতে এটি একটি বিশাল অঙ্কের বিনিময় এবং একটি রেকর্ড।

মার্ক ওয়াল্টার, যিনি বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেস ডজর্স-এর মালিক, তিনি গুগেনহেইম পার্টনার্স নামক একটি বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও পরামর্শদাতা আর্থিক পরিষেবা সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

খেলাধুলার প্রতি তাঁর আগ্রহ অনেক। এর আগে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস স্পার্কস, বিলি জিন কাপ, ক্যাডিলাক ফর্মুলা ১ দল এবং পেশাদার মহিলা হকি লিগেও বিনিয়োগ করেছেন।

লেকার্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও নিয়ন্ত্রক মালিক জেনি বুস, যিনি ২০১৩ সালে তাঁর বাবা জেরি বুসের মৃত্যুর পর দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

এই চুক্তির পরেও তিনি লেকার্সের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বুস পরিবার দলের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধরে রাখবে বলে জানা গেছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্স দলটি বাস্কেটবলের ইতিহাসে অত্যন্ত সফল একটি দল।

করিম আব্দুল-জাব্বার, ম্যাজিক জনসন, কোবি ব্রায়ান্ট, শ্যাকুইল ও’নিল এবং লেব্রন জেমসের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড় এই দলের হয়ে খেলেছেন।

দলটির ঝুলিতে রয়েছে ১৭টি এনবিএ ফাইনাল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।

এর মধ্যে জেরি বুস ১৯৭৯ সালে যখন দলটি কিনেছিলেন, তারপর থেকে ১১টি শিরোপা তারা জিতেছে।

জেরি বুস ৪৬ বছর ধরে এই দলের মালিক ছিলেন, যা এনবিএ-এর ইতিহাসে একটি রেকর্ড।

ম্যাজিক জনসন, যিনি একসময় লেকার্সের হয়ে খেলেছেন এবং বর্তমানে ডজর্সের অংশীদার, এই চুক্তির বিষয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

আমার বোন জেনি বুস একটি অসাধারণ চুক্তি করেছেন এবং লেকার্সের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সঠিক ব্যক্তি, অর্থাৎ মার্ক ওয়াল্টারকে বেছে নিয়েছেন।

ম্যাজিক জনসন

মার্ক ওয়াল্টার একজন বিজয়ী এবং তিনি লেকার্সের ব্র্যান্ডের সেরা তত্ত্বাবধায়ক হবেন।”

এই পরিবর্তনের ফলে বাস্কেটবল বিশ্বে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিশাল অঙ্কের চুক্তির ফলে খেলাধুলার জগতে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

এই চুক্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ১.১ ট্রিলিয়ন বাংলাদেশী টাকার সমান (বিনিময় হারের ওপর নির্ভরশীল)।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *