হুভারের মুক্তি: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কি তবে কারাগার থেকে ফিরছেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্ত বর্তমানে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি কুখ্যাত গ্যাংস্টার ডিসাইপলস-এর প্রাক্তন প্রধান ল্যারি হুভারের ফেডারেল কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে দিয়েছেন। তবে, এর ফলে কি তিনি মুক্তি পাবেন? এই প্রশ্নটাই এখন অনেকের মনে।

### কে এই ল্যারি হুভার?

ল্যারি হুভার, শিকাগোর কুখ্যাত গ্যাংস্টার ডিসাইপলস গ্যাংয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। গত কয়েক দশক ধরে তিনি বিভিন্ন অপরাধের দায়ে কারারুদ্ধ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ছিল, যার জন্য ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে তিনি ২০০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে ফেডারেল পর্যায়ে চাঁদাবাজি, মাদক পাচার এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে হুভারের ফেডারেল কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের আইন অনুযায়ী, এখনো তিনি মুক্তি পাননি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা রয়েছে ফেডারেল আদালত কর্তৃক দেওয়া সাজা কমানোর, কিন্তু রাজ্যের আদালতের রায়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা তার নেই।

### মুক্তির সম্ভাবনা কতটুকু?

১৯৭৩ সালে, ১৯ বছর বয়সী মাদক ব্যবসায়ী উইলিয়াম “পুকি” ইয়ং-কে হত্যার দায়ে হুভারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই মামলায় তার ২০০ বছরের কারাদণ্ড হয়। বর্তমানে, তিনি সম্ভবত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডিজন কারেকশনাল সেন্টারে বন্দী থাকবেন। যদিও তার মুক্তির তারিখ এগিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।

### কেন এই সিদ্ধান্ত?

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, অনেকে মনে করেন, এর পেছনে প্রভাব ছিল র‍্যাপার ইয়ে (সাবেক কানি ওয়েস্ট) এবং ড্র্যাকের মতো সেলিব্রিটিদের। তারা দীর্ঘদিন ধরে হুভারের মুক্তির জন্য তদবির করছিলেন। এমনকি, ইয়ে তার ডিওন্ডা অ্যালবামে হুভারের মুক্তির সমর্থনে গানও গেয়েছেন।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এটিকে ন্যায়বিচারের পথে একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *