প্রকাশ্যে! লাস ভেগাসের কাছেই লুকিয়ে আছে যা, দেখলে চোখ জুড়াবে!

লাস ভেগাস থেকে কাছেই, ঘুরে আসার মতো ৬টি অসাধারণ গন্তব্য।

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ঝলমলে শহর, লাস ভেগাস। সারা বিশ্ব থেকে এখানে মানুষ আসে, ঝলমলে আলোয় মোড়া এই শহরের আকর্ষণ যেন সবসময়ই তুঙ্গে। তবে, যারা একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা ভালোবাসেন, তাদের জন্য লাস ভেগাসের আশেপাশে রয়েছে কিছু অসাধারণ গন্তব্য।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তেমনই কিছু স্থানের কথা, যেখানে একদিনের সফরে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর রূপ আর ঐতিহাসিক নিদর্শনের সাক্ষী হওয়া যায়।

প্রথমেই আসা যাক, “ভ্যালি অফ ফায়ার স্টেট পার্ক”-এর কথায়। লাস ভেগাস থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টার পথ পেরোলেই দেখা মিলবে এই পার্কের। এখানকার লাল বেলেপাথরের পাহাড়গুলো যেন প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি।

সূর্যের আলো পড়তেই এদের রঙ আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, যা পর্যটকদের মন জয় করে নেয়। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই স্থানটি যেন স্বর্গ।

এরপরের গন্তব্য হতে পারে “অ্যারো ক্যানিয়ন”। এখানকার চুনাপাথরের বিশালতা আর শত শত বছরের পুরনো চিত্রকর্ম, যা পাথরের গায়ে খোদাই করা রয়েছে, তা একইসঙ্গে বিস্মিত করে এবং মুগ্ধ করে। যারা ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ জায়গা।

যারা প্রকৃতির নীরবতা ভালোবাসেন, তাদের জন্য “রেড রক ক্যানিয়ন ন্যাশনাল কনজারভেশন এরিয়া” একটি আদর্শ জায়গা। এখানে পাহাড় পথের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।

এছাড়াও, যারা ঘোড়ায় চড়তে ভালোবাসেন, তারা এখানকার “কাউবয় ট্রেইল রাইড”-এ অংশ নিতে পারেন।

শীতকালে যারা বরফের রাজ্যে ঘুরতে যেতে চান, তাদের জন্য “স্প্রিং মাউন্টেনস ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া”-র “মাউন্ট চার্লসটন” অন্যতম আকর্ষণ। এখানে “লি ক্যানিয়ন স্কি রিসোর্ট”-এ স্কিইং এবং স্নোবোর্ডিংয়ের মতো কার্যকলাপ উপভোগ করা যেতে পারে।

মরুভূমির রুক্ষ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসা যেতে পারে ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক থেকে। এখানকার বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে নানা আকারের গর্ত, যা অগ্নুৎপাতের ফলে তৈরি হয়েছে।

ডেথ ভ্যালির কাছেই “বিটি” শহরে রয়েছে “এক্সচেঞ্জ ক্লাব”-এর মতো আকর্ষণীয় স্থান, যেখানে শিল্পী জেমস হেনিন্জারের অসাধারণ মেটাল আর্ট কর্ম দেখা যায়।

সবশেষে আসা যাক “গোল্ডফিল্ড”-এর কথায়। এক সময়ের জনবহুল এই শহরটি এখন যেন ইতিহাসের সাক্ষী। এখানে পুরনো দিনের স্থাপত্য, অদ্ভুত কবরস্থান, আর “ইন্টারন্যাশনাল কার ফরেস্ট”-এর মতো আকর্ষণ রয়েছে, যা ভ্রমণার্থীদের মন জয় করে।

এছাড়াও, যারা রাতের আকাশে তারা দেখতে ভালোবাসেন, তারা লাস ভেগাসের কাছাকাছি “রাইওলাইট” অথবা “মাউন্ট চার্লসটন”-এর দিকে যেতে পারেন। রাতের আকাশে তারা ঝলমলে দৃশ্য এখানকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।

অতএব, যারা লাস ভেগাসের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির কাছাকাছি কিছু সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য এই স্থানগুলো হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।

তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *