লাস ভেগাসের ঝলমলে আলো এবং জাঁকজমকের মাঝে, অভিজাত একটি বারের সন্ধান পাওয়া গেছে যা দর্শকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। ফন্টেইনব্লু হোটেলের ৮৯ তলার ‘পুডল রুম’ নামের এই বিশেষ বারটি যেন বিলাসিতার এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে।
শুধু বলাই বাহুল্য, এখানে প্রবেশাধিকার সীমিত।
লাস ভেগাস, যা ‘পাপের শহর’ নামেও পরিচিত, তার উজ্জ্বল আলো এবং আকর্ষণীয় জীবনের জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। আর এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ হল এখানকার বিলাসবহুল হোটেলগুলো, যেখানে বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ রয়েছে।
ফন্টেইনব্লু হোটেল তার ব্যতিক্রমী ডিজাইন এবং উন্নত পরিষেবা দিয়ে এরই মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই হোটেলের একেবারে উপরের তলায় অবস্থিত ‘পুডল রুম’ যেন সেই খ্যাতির মুকুটে আরেকটি পালক।
বারটির প্রধান আকর্ষণ হল এর ‘পুডল’ থিম। বার জুড়ে পুডল কুকুরের মূর্তি, ছবি এবং সজ্জা দর্শকদের মন জয় করে। এখানকার পরিবেশ এতটাই আড়ম্বরপূর্ণ যে, একবার গেলে যেন চোখ ফেরানো যায় না।
বারের অন্দরসজ্জা, আলো এবং আসবাবপত্র সবকিছুই যেন আভিজাত্যের প্রতীক। তবে এখানে প্রবেশ করা সহজ নয়।
হয় সদস্য হতে হবে, অথবা থাকতে হবে হোটেলের সবচেয়ে দামি ‘ফleur de Lis’ স্যুইটে, যার প্রতি রাতের খরচ ১৫০০ মার্কিন ডলার। অথবা, জাপানি রেস্তোরাঁ ‘ইতো’তে রিজার্ভেশন করতে হবে, যেখানে ওমাকাসি-এর (শেফ-এর পছন্দ অনুযায়ী খাবার) ব্যবস্থা আছে।
এই বিশেষ বারে প্রায়ই নামী-দামী তারকাদের আনাগোনা দেখা যায়। তাদের মধ্যে জেনিফার লোপেজ, বেন অ্যাফ্লেক, এবং আরও অনেক সেলিব্রেটি নিয়মিত আসেন।
বারের কর্মীদের আন্তরিকতা এবং আতিথেয়তাও বিশেষভাবে প্রশংসিত। এখানকার ককটেলগুলো যেমন সুস্বাদু, তেমনি পরিবেশটাও মনোমুগ্ধকর।
‘পুডল রুম’-এর পাশাপাশি, এখানে ‘ইতো’ নামের একটি জাপানি রেস্তোরাঁও রয়েছে, যেখানে জাপানের সেরা শেফ-রা তাদের রন্ধনশৈলীর জাদু দেখান।
এই রেস্তোরাঁটি সম্ভবত ‘পুডল রুম’-এ প্রবেশের একটি অন্যতম উপায়।
মোটকথা, ‘পুডল রুম’ হল লাস ভেগাসের বিলাসিতার জগতে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি শুধুমাত্র একটি বার নয়, বরং একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা, যা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে।
যারা আভিজাত্য এবং ভিন্ন স্বাদের সন্ধান করেন, তাদের জন্য এই জায়গাটি অসাধারণ।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার