যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া জনপ্রতিনিধিদের সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ নাগরিকরা। সম্প্রতি, স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরাসরি মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে আয়োজিত কিছু অনুষ্ঠানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে তাঁদের এলাকার ভোটারদের বাগবিতণ্ডা ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
উইওমিং রাজ্যের লারামিতে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান হ্যারিয়েট হেজেম্যানের একটি সভায় “৬ই জানুয়ারি” এবং “ধনী কর” শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান অংশগ্রহণকারীরা। জনগণের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় হ্যারিয়েটকে অনেক বেগ পেতে হয়।
তিনি যখন ওয়াশিংটনে তাঁর কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে যান, তখন এক ব্যক্তি চিৎকার করে ওঠেন, “কিছুই না!” এর প্রতিক্রিয়ায় হ্যারিয়েট বলেন, “যদি আপনারা আমাদের প্রক্রিয়া এবং এই দেশের প্রতি এতটুকুও সম্মান না দেখান, তাহলে আমি আপনাদের চলে যেতে বলতে পারি।”
অন্যদিকে, ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান শন ক্যাসটেনের ইলিনয়ের ডাউনার্স গ্রোভের সভায় ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা একাধিকবার বাধা দেয়। এমনকি, এক ব্যক্তি হঠাৎ মঞ্চে উঠে ক্যাসটেনের দিকে তেড়ে যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং সভাটি দ্রুত শেষ করতে হয়। ক্যাসটেনের উপর অভিযোগ ছিল, তিনি ইসরায়েলকে সমর্থন করেন।
বিভিন্ন সভায় জনগণের এই ক্ষোভ প্রকাশের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে এবং তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি আস্থা কমছে।
বিশেষ করে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী ক্ষমতা এবং সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন।
এছাড়া, ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতাদের অগোছালো কার্যক্রম এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা নিয়েও অনেকে সমালোচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণের এই ধরনের মতবিরোধ গণতন্ত্রের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।
কারণ, এর ফলে জনগণের মধ্যে হতাশা বাড়তে পারে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা ও মতবিনিময়ের পথ সংকুচিত হয়ে আসতে পারে।
জনগণের এই অসন্তোষ কিভাবে দূর করা যায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
