একটি ভাড়ার বাড়িতে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ।
ঢাকার মত শহরে যেখানে মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকে, সেখানে অনেক সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মতভেদ দেখা যায়। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের (UK) একটি ভাড়ার বাড়িতে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বাড়িটির বাসিন্দা, রাহিম এবং ইলিনরের মধ্যে এই বিষয়ে মনোমালিন্য চলছে।
ইলিনর চান বাড়ির সামনের এবং পেছনের বাগানের ঘাস কাটার ব্যবস্থা করা হোক। তিনি মনে করেন, বাগানটির এই বেহাল অবস্থা বাড়ির সৌন্দর্যহানি করছে। তিনি নিজে ঘাস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে রাজি, কিন্তু তার বন্ধু রাহিমের এতে ঘোর আপত্তি।
রাহিমের মতে, বাগান দেখাশোনার দায়িত্ব বাড়িওয়ালার, তাই এই বিষয়ে তাদের কোনো খরচ করা উচিত নয়।
ইলিনর জানান, তারা যে বাড়িতে থাকেন, তার চুক্তি অনুযায়ী বাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব বাড়িওয়ালার। কিন্তু বর্তমানে বাড়িওয়ালা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং ইমেলের জবাবও দিচ্ছেন না।
এমতাবস্থায়, ইলিনর চান তারা নিজেরাই ঘাস কাটার ব্যবস্থা করুন, যাতে গ্রীষ্মকালে তারা বাগানটিতে বসে সময় কাটাতে পারেন। তিনি একটি ‘বাড়ি তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব করেছেন, যেখানে সবাই ঘাস কাটার খরচ ভাগ করে নেবে। তাদের বাড়িতে এরই মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জন্য একটি তহবিল রয়েছে।
অন্যদিকে, রাহিমের যুক্তি হলো, তাদের চুক্তিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাগান দেখাশোনার দায়িত্ব বাড়িওয়ালার। তিনি মনে করেন, ঘাস কাটার খরচ বহন করা তাদের জন্য অন্যায্য হবে।
রাহিমের মতে, তিনি এই বাড়িতে নতুন এসেছেন এবং এই জায়গার প্রতি তার তেমন কোনো আবেগ নেই। তিনি চান, বাড়িওয়ালাকে চাপ দিতে থাকা হোক এবং ঘাস কাটার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা হোক।
এই ঘটনার জেরে, তাদের তৃতীয় বন্ধু, যিনি এই বিষয়ে এখনো কোনো পক্ষ নেননি, তিনি মূলত রাহিমের পক্ষেই রয়েছেন।
এই বিতর্কের সমাধানে, গার্ডিয়ানের পাঠকদের মতামত জানতে একটি অনলাইন পোল (online poll) করা হয়েছিল। পাঠকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাহিমের কি ঘাস কাটার খরচ দিতে রাজি হওয়া উচিত? পোলটি ১লা মে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় (BST) বন্ধ হয়ে যায়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান