যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক আইনজীবী, সারা জ্যাাকলিন কিং, ক্লায়েন্টদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে ২১ মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন। জুয়া খেলার নেশায় তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৫ কোটি টাকার সমান। খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর সারা বিশ্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কিং ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে বিনিয়োগের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন। কিং ফ্যামিলি লেন্ডিং এলএলসি (King Family Lending LLC) নামক একটি ব্যবসার মাধ্যমে তিনি প্রতিশ্রুতি দিতেন যে, উচ্চ-মূল্যের ব্যক্তিদের স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। এর বিনিময়ে ভালো মুনাফার লোভ দেখানো হতো। কিন্তু বাস্তবে তিনি কোনো ঋণ দেননি। বরং, গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ তিনি জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে লাস ভেগাসের ক্যাসিনোগুলোতে ব্যয় করতেন এবং বিলাসবহুল জীবন যাপন করতেন।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে, কিং প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন ডলার (৯৪ কোটি টাকার বেশি) আত্মসাৎ করেছেন। এই অর্থ তিনি মূলত লাস ভেগাসের একটি ক্যাসিনোতে জুয়া খেলে উড়িয়ে দেন। শুধু তাই নয়, তিনি একটি পোরশে টায়কান (Porsche Taycan) স্পোর্টস কারও কিনেছিলেন, যার মূল্য ছিল প্রায় ১৩২,১৫৬ ডলার।
আদালতে পেশ করা নথিতে জানা যায়, কিং-এর প্রাক্তন স্বামী কামরান আব্বাস-ভাহিদ তাকে ঋণ নেয়া অর্থ জুয়া খেলার জন্য চাপ দিতেন। কিং-এর আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেল একসময় “জানাক্স” নামক একটি ওষুধের প্রতি আসক্ত ছিলেন এবং লাস ভেগাসে জুয়া খেলার সময় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করতেন।
এই ঘটনার শিকার একজন ক্লায়েন্ট, ইয়ুমিকো স্টারডিভেন্ট (Yumiko Sturdivant), সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “তিনি শুধু একজন বিলিয়নারের কাছ থেকেই চুরি করেননি, আমার মতো সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও চুরি করেছেন। তিনি যে কাজটি করেছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এর থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই।
সারা জ্যাাকলিন কিংকে আগামী ১৪ জুলাই কারাবন্দী করা হবে এবং মুক্তি পাওয়ার পর তাকে তিন বছর তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। এই ঘটনার পর অনেকেই আর্থিক প্রতারণা ও নৈতিক স্খলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল