ফিরে এল লিডস! ফার্কের জাদু, টিকে থাকার লড়াই!

**লিডস ইউনাইটেড: প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন, কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন ফার্কের দল**

ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ স্তর, প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) ফিরে এসেছে লিডস ইউনাইটেড। গেল মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ (Championship) থেকে সফলভাবে তারা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

খেলোয়াড় কেনাবেচায় বড় ধরনের পরিবর্তনের পর, ক্লাবটির ম্যানেজার ড্যানিয়েল ফার্কে (Daniel Farke) দলের পুনর্গঠনে মনোযোগ দেন এবং এই সাফল্যের পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

গত গ্রীষ্মে প্রায় ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের খেলোয়াড় বিক্রি করার পর, ফার্কে কৌশলগতভাবে দলটিকে ঢেলে সাজান।

তিনি একদিকে যেমন দলের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করেন, তেমনি তরুণ এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ান। জাপানের মিডফিল্ডার এও তানাকা, যিনি প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৫২ কোটি টাকার বেশি) ফর্চুনা ডুসেলডর্ফ থেকে এসেছিলেন, দলের মাঝমাঠকে শক্তিশালী করেছেন।

এছাড়াও, শেফিল্ড ইউনাইটেড থেকে ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে (প্রায় ৭৫ কোটি টাকা) আসা জেইডেন বোগল এবং টটেনহ্যাম থেকে ধারে আসা ম্যানর সলোমন দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন।

ফার্কের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তার ব্যতিক্রমী কৌশল এবং খেলোয়াড় নির্বাচন।

তিনি শুধু মাঠের খেলা নয়, মাঠের বাইরের বিভিন্ন বিষয় যেমন – খেলোয়াড়দের চুক্তি, ট্যাক্স এবং ক্লাবের আর্থিক দিকগুলোও বিবেচনা করেন।

খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি সবসময়ই ছিলেন বিচক্ষণ।

নরউইচ সিটির (Norwich City) হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপে (Championship) দুটি সাফল্যের পর, লিডসের (Leeds) দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনার ক্ষমতা তার রয়েছে।

তবে, প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকাটা লিডসের জন্য সহজ হবে না।

কারণ, ক্লাবটিকে এখন আর্থিক বিধি-নিষেধের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে।

এছাড়াও, তাদের মাঠ, ‘ইল্যান্ড রোড’-এর (Elland Road) আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্য মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করতে হবে।

লিডসের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী অ্যাঙ্গাস কিনিয়ার (Angus Kinnear) এভারটনে (Everton) যোগ দেওয়ায়, দলের ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন আসতে পারে।

চ্যাম্পিয়নশিপে লিডসের পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল, তবে প্রিমিয়ার লিগে তাদের আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।

তাদের আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং গোলরক্ষক ও সেন্টার-ফরোয়ার্ড পজিশনে ভালো খেলোয়াড় আনতে হবে।

ফার্কের মতে, “আমরা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

এর জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রয়োজন।”

লিডস ইউনাইটেডের জন্য এখন প্রধান লক্ষ্য হলো – শীর্ষ লিগে নিজেদের স্থান ধরে রাখা।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *